মিলল বরফ গলার ইঙ্গিত! কৃষক নেতাদের পরিবেশিত খাবার খেয়ে কোন বার্তা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের
এর আগে যতগুলি বৈঠকে কৃষক-কেন্দ্র মুখোমুখি হয়েছে, তাতে সরকারের পরিবেশিত খাওয়া ছুঁয়েও দেখেনি কৃষকরা। এই ভাবে বারংবার মধ্যাহ্নভোজের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানকে কৃষকদের প্রতিবাদের একটি অস্ত্র হিসাবে দেখা হতে থাকে। তবে এবার চিত্রটা বদলে গেল। এদিন ষষ্ঠ দফার বৈঠকে কৃষক-কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা এক সঙ্গে লাঞ্চ করলেন। যাতে মিলল বরফ গলার ইঙ্গিত।
অনড় মনোভাব থেকে যেন অনেকটাই পিছু হটেছে কৃষকরা
এর আগে বিজ্ঞান ভবনে প্রতিবার নিজেদের আনা খাবার খেয়ে কেন্দ্রকে চরম বার্তা দিয়েছিলেন কৃষক নেতারা। সাফ বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, দেশের অন্ন জোগান দেওয়া এই মানুষগুলি কারোর উপর নির্ভরশীল নয়। তবে সেই অনড় মনোভাব থেকে যেন অনেকটাই পিছু হটেছে কৃষকরা। আর তারই ফল স্বরূপ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদেরর সঙ্গে এক টেবিলে বসে খাবার খাওয়ার দৃশ্য দেখল দেশ।
মন্ত্রীদের খাবার পরিবেশন করতে দেখা যায় কৃষক নেতাদের
এদিন পীযূষ গোয়েল, নরেন্দ্র সিং তোমরদের খাবার পরিবেশন করতে দেখা যায় কৃষক নেতাদের। অবশ্য, বৈঠকে বসার আগে কৃষকরা হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিল যে আইন প্রত্যাহার এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ছাড়া কোনও বিষয় নিয়েই আলোচনা করবে না তারা। এই অবস্থায় আজকের বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র মেলে কি না সেটাই দেখার৷
বৈঠকে রয়েছেন যেই মন্ত্রীরা
বুধবারের বৈঠকে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর ও কেন্দ্রীয় খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী সোম প্রকাশ৷ এর আগে কৃষি মন্ত্রী মঙ্গলবার বলেছিসেন, আশা করছি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে৷ এই পরিস্থিতিতে আজকের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে দু'পক্ষই৷
আজ আন্দোলনের বয়স হল ৩৫ দিন
এদিকে আজ আন্দোলনের বয়স হল ৩৫ দিন৷ শেষবার কেন্দ্র-কৃষক বৈঠক হয়েছিল ৫ ডিসেম্বরে৷ পরের বৈঠক ৯ ডিসেম্বর হওয়ার কথা থাকলেও তা ভেস্তে যায়৷ এছাড়াও অমিত শাহ কৃষক নেতাদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন৷ যদিও সেই আলোচনাতেও সমস্যার সমাধান সূত্র মেলেনি৷
লাদাখ সীমান্তে সর্বশক্তি নিয়ে তৈরি চিন! বেজিং-ইসলামাবাদকে পাল্টা হুঁশিয়ারি ভারতের