
BMW-র সঙ্গে আরও দুই 'B'! ফেসবুক লাইভ থেকে জানা গেল যোগী রাজ্যে মর্মান্তিক হাইওয়ে দুর্ঘটনার কারণ
দিন কয়েক আগে উত্তর প্রদেশের পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেস ওয়েতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় চারজনের মৃত্যুর পরে পুলিশের তদন্তে অনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। দুর্ঘটনার সময় BMW-র গতি ছিল ঘন্টায় ২৩০ কিমি। গাড়িতে বসে থাকা চার যুবক ফেসবুক লাইভে তাঁদের বন্ধুদের গাড়ির গতি দেখাচ্ছিলেন।

হাইওয়েতে কন্টেনারে ধাক্কা
বিএমডব্লুটি পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়েতে একটি কন্টেনারের সঙ্গে ধাক্কা মারে। গাড়ির ভিতরে থাকা ৪ জনেরই মৃত্যু হয়। এই ধাক্কা এতটাই মারাত্মক ছিল যে প্রায় ২০-৩০ মিটার দূরে এক যুবকের মাথা ও হাত পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। বাকিদের দেহও ছিন্নভিন্ন হয়ে আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। আর গাড়িটির অবশিষ্টাংশ যেন লোহার স্তুপে পরিণত হয়েছিল। গাড়ির মধ্যে পাওয়া গিয়েছে বিয়ারের ক্যানের মতো পাত্র। চালক মাতাল ছিলেন কিনা তা অবশ্য এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

ফেসবুক লাইভ থেকে দুর্ঘটনার কিনারা
পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, গাড়ির ভিতরে ফেসবুক লাইভ চলার সময় চারজনের মধ্যে গতি নিয়ে কথা হচ্ছিল। গাড়ির স্পিডোমিটারের নিডল যত বাড়ছিল, সহযাত্রীরা আরও গতি বাড়ানোর কথা বলছিলেন। কথোপকথনে শোনা গিয়েছে...স্পিড এখনই ৩০০ ছুঁয়ে যাবে। ...সিটবেল্ট লাগাও। ...চলো সোজা। ...ব্রেক করো না।

গাড়িতে ছিলেন এক চিকিৎসক, এক ইঞ্জিনিয়ার
ওই বিএমডব্লুতে ছিলেন বিহারের রোহতাসের বাসিন্দা চিকিৎসক আনন্দ কুমার। তিনি জামুহারের কুষ্ঠ রোগ বিভাগের এইচওডি ছিলেন। তাঁরই আত্মীয় ঝাড়খণ্ডের এক ইঞ্জিনিয়ার দীপক আনন্দ, বন্ধু অখিলেশ সিং এবং ভোলা কুশওয়াহা। গাড়ি চালাচ্ছিলেন ভোলা। জানা গিয়েছে চিকিৎসক আনন্দ কুমার দামী গাড়ি কিংবা বাইক পছন্দ করতেন। তাঁর নিজের ১৬ লক্ষ টাকা মূল্যের বাইক রয়েছে। সম্প্রতি তিনি এই বিএমডব্লু গাড়িটি কিনেছিলেন। যাচ্ছিলেন লখনৌ।
|
হাইওয়ের আইন
হাইওয়েতে গতিবেগ কখনই ঘন্টায় ১০০ কিমির বেশি হওয়ার কথা নয়। তবে অনেক সময়েই অনুমোদিত সীমা ছাড়িয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দুর্ঘটনা থেকে মনে হচ্ছে চারজনের সাহসিকতাও উপেক্ষা করা যায় না। আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে বিপরীত দিক থাকে আসা কন্টেনারে ধাক্কা লেগেছে। কিন্তু বিএমডব্লুর চালক সেই রাস্তার ডাইভারশন সম্পর্কে কিছুই জানতেন না।