করোনার বিরুদ্ধে লড়াই, দেশের আরও দুই সংস্থার নমুনা পরীক্ষার কিট তৈরির কাজ শুরু
২ টি দেশীয় প্রতিষ্ঠান করোনা ভাইরাসের অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট তৈরির কাজ শুরু করেছে। সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন এই দুই সংস্থাকে ইতিমধ্যে লাইসেন্সও দিয়েছে।
২ টি দেশীয় প্রতিষ্ঠান করোনা ভাইরাসের অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট তৈরির কাজ শুরু করেছে। সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন এই দুই সংস্থাকে ইতিমধ্যে লাইসেন্সও দিয়েছে। ২ টি দেশীয় সংস্থা এমন এটা পরিস্থিতিতে এই টেস্ট কিট তৈরি করতে শুরু করল যখন, ভারতকে টেস্ট কিটের জন্য চিনের ওপর নির্ভর করে থাকতে হচ্ছে।
এমাসের শুরুতে আইসিএমআর-এর তরফ থেকে দিল্লির ভ্যানগার্ড ডায়াগনস্টিত, কেরলের রাষ্ট্রায়ত্ত এইচএলএল লাইফ কেরার লিমিটেড এবং গুজরাতের ভক্সটুর বায়ো লিমিটেডের কিটের স্যাম্পের পরীক্ষা করে দেখে। তাদেরকে কিট তৈরির জন্য লাইসেন্সও দেয়।
ইতিমধ্যে এইচএলএল এবং ভক্সটুর কিট তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছে। এইচএলএল-এর আশা ২০ এপ্রিল নাগাদ ১ লক্ষ কিট তারা সরবরাহ করতে পারবে। অন্যদিকে ভ্যানগার্ড আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে কিট তৈরি করতে শুরু করবে বলে জানা গিয়েছে।
বর্তমানে আরটি-পিসিআর কিটে পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। যার ফল আসতে ৫ ঘন্টা লেগে যায়। কিন্তু দেশে তৈরি আরটিকে কিট দিয়ে ৩০ মিনিটের মধ্যে ফল জানা যাবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত এইটএলএল লাইফকেয়ার লিমিটেড যাদের খ্যাতি কন্ডোম তৈরিতে, হরিয়ানার মানেসরের কারখানায় ১৪ এপ্রিল থেকে কিট তৈরি শুরু করে দিয়েছে। সোমবার তারা লাইসেন্স পেয়েছে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে সপ্তাহে তাদের কিচ তৈরির ক্ষমতা ১ লক্ষ। কিট তারা সরাসরি আইসিএমআরকে দেবে বলেও জানিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কিঠ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস তারা আমেরিকা থেকে আমদানি করেছেন। উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িতে দিনে ২৫ হাজার কিট তৈরির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন এইচএলএল লাইফ কেয়ারের টেকনিক্যাল অপারেশন বিভাগের ডিরেক্টর ইএ সুব্রামনিয়ান।
অন্যদিকে সুরাতের ভক্সটুর বায়ো লিমিটেডের তরপে জানানো হয়েছে, তাদের কিট তৈরিতে দেশীয় জিনিসপত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। মাসে তাদের এক কোটি কিট তৈরির ক্ষমতা রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।