ত্রিপুরায় এবার মানিক 'সরকার'! পেশায় চিকিৎসকের রাজনৈতিক উত্থান চমকে দেওয়ার মতো
ত্রিপুরা'র রাজ যাচ্ছে আরও এক মানিকের হাতে! আজ শনিবার হঠাত করেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন বিপ্লব দেব। বছর ঘুরলেই সে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের কয়েক মাস হাতে রয়েছে। আর ঠিক তখনও মুখ্যমন
ত্রিপুরা'র রাজ যাচ্ছে আরও এক মানিকের হাতে! আজ শনিবার হঠাত করেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন বিপ্লব দেব। বছর ঘুরলেই সে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের কয়েক মাস হাতে রয়েছে। আর ঠিক তখনও মুখ্যমন্ত্রী পদে রদবদল। মানিকের হাতেই রাজ্যের দায়িত্ব তুলে দিলেন বিপ্লব দেব।
বিজেপি সূত্রে খবর, বিপ্লব দেবের ভূমিকা নিয়ে মোটেই খুশি ছিল না কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে তাঁর সখতা মোটেই ভাল ছিল না। ফলে দলের মধ্যে একটা ক্ষোভ তৈরি হচ্ছিল। আর এই অবস্থায় সে রাজ্যে তৃণমূলের উত্থান ভাবিয়ে তুলেছে শাহ-নাড্ডাদের। আর তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে মানিক সাহাকে গুরু দায়িত্ব দিলেন শাহ-নাড্ডারা।
কিন্তু কে এই মানিক সাহা?
জানা যাচ্ছে, মানিক সাহা ত্রিপুরা বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। ত্রিপুরার রাজনীতিতে তাঁর একেবারে উল্কার গতিতে উত্থান বলা যেতে পারে। শুধু তাই নয়, অল্প দিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সুনজরেও পড়ে যান মানিক সাহা। ২০২০ সালে সে রাজ্যের বিজেপির দায়িত্ব মানিক সাহা'র কাঁধে যায়। তবে তাঁর রাজনীতি শুরু কংগ্রেস থেকে। যদিও ২০১৬ সালে বিজেপিতে যোগ দেন ভাবী মুখ্যমন্ত্রী। আর এরপর ধীরে ধীরে একের পর এক দায়িত্ব যায় তাঁর কাঁধে।
পেশায় দন্ত বিশেষজ্ঞ
পেশায় দন্ত বিশেষজ্ঞ মানিক সাহা;র হাতে উঠতে চলেছে ত্রিপুরার গুরু দায়িত্ব। তবে পাকাপাকিভাবে রাজনীতিতে আসার আগে দীর্ঘদিন শিক্ষাগত কাজে যুক্ত ছিলেন তিনি। জানা যায়, ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষক হিসাবেই কাজ করতেন। এরপর ধীরে ধীরে রাজনীতিতে আসা ভাবী মুখ্যমন্ত্রীর। তবে এই মুহূর্তে একাধিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিকমহল।
খেলাধুলোতেও আগ্রহী ভাবী মুখ্যমন্ত্রী
রাজনীতির পাশাপাশি খেলা'র জগতেও বিশেষ আগ্রহ রয়েছে বিজেপি নেতা মানিক সাহার। ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান হিসাবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।
রাজ্যসভায় পাঠাননো হয় মানিক সাহা
গত এপ্রিল মাসেই রাজ্যসভায় পাঠাননো হয় মানিক সাহা। গত ৩ এপ্রিল শপথ নেন তিনি। আর কয়েক মাসের মধ্যেও দিল্লি নেতাদের সুনজরে চলে আসেন এই চিকিৎসক। আর এরপরেই বিপ্লবকে সরিয়ে বড় দায়িত্ব তাঁর কাঁধেই। তবে এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বড় দায়িত্ব ঠিকই। তবে আগের মতো কাজ করব।
বলে রাখা প্রয়োজন, ২০১৮ সালের ৯ মার্চ প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বিপ্লব দেব। আর এরপর থেকে চার বছর টানা সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। তবে মানিকবাবু দিল্লির মন জয় করতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার।