অমানবিক! করোনা সংক্রমণ রুখতে পরিযায়ী শ্রমিকদের গায়ে ছড়ানো হচ্ছে জীবাণু নাশক রাসায়নিক
অমানবিক! করোনা সংক্রমণ রুখতে পরিযায়ী শ্রমিকদের গায়ে ছড়ানো হচ্ছে জীবাণু নাশক রাসায়নিক
গোটা দেশে লকডউনের কারণে কাতারে কাতারে পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। বিশেষ করে উত্তর প্রদেশ এবং বিহারের অসংখ্য পরিযায়ী শ্রমিক ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। একদিকে যখন তাঁদের ঘরে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে সরকার তেমনই তাঁরা ঘরে ফেরার পর কী হাল হচ্ছে তার একটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে।
রাসায়নিক স্প্রে
উত্তর প্রদেশের বরেলিতে বাড়ি ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের গায়ে ছড়ানো হচ্ছে জীবাণু নাশক রাসায়নিক। এতে তাঁদের করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা কমবে বিশ্বাস করেই এই কাজ করা হচ্ছে। পুলিসের নজরদারিতেই নারী-পুরুষ-শিশু নির্বিশেষে সকল পরিযায়ী শ্রমিকদের উপরেই এই জীবাণুনাশক রাসায়নিক স্প্রে করা হচ্ছে। দিল্লি, হরিয়ানা এবং নয়ডা থেকে এরা ফিরেছে দেশে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে এক ব্যক্তি চিৎকার করে বলছেন নিজের চোখ এবং শিশুদের চোখ বন্ধ কর। তারপরেই তাঁদের উপর রাসায়নিক স্প্রে করা হচ্ছে।
প্রিয়াঙ্কার টুইট
ভিডিওটি দেখার পরেই টুইট করে ঘটনার সমালোচনা করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তিনি বলেছেন এমন অমানবিক কাজ করবেন। এতে জীবাণু তো মরবেই না উল্টে তাঁদের জীবন সংকটে পড়বে। আমরা তাঁদের সুরক্ষা দিতে না পারলে বিপদে ফেলার অধিকারও রাখি না। হিন্দিতে টুইট করে একথাই লিখেছেন কংগ্রেসের জাতিয় সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
পরিযায়ী শ্রমিকরা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে
লকডাউন ঘোষণার পর অসংখ্য পরিযায়ী শ্রমিক দেশে ফিরতে শুরু করেছেন। রাজধানী দিল্লি সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরের বাসস্ট্যান্ড এবং রেলস্টেশনে ভিড় করতে শুরু করেছেন তাঁরা। কেউ কেউ আবার হেঁটেই পাড়ি দিয়েছেন পথ। তাঁদের খাদ্য এবং আশ্রয় দেওয়ার জন্য রাজ্যগুলিেক নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এদিকে লকডাউনের উদ্দেশ্য যাতে বিফলে না যায় তার মরিয়া চেষ্টা চালানো হচ্ছে।