যাঁদের ফ্ল্যাট ছিল নয়ডার টুইন টাওয়ারে, তারা কি ক্ষতিপূরণ পাবেন?
যাঁদের ফ্ল্যাট ছিল নয়ডার টুইন টাওয়ারে, তারা কি ক্ষতিপূরণ পাবেন?
ইতিহাসে চলে গেল নয়ডার (Noida) টুইন টাওয়ার (Twin Tower)। ধুলোয় মিশে গেল কোটি কোটি টাকার অবৈধ নির্মাণ। এর আগে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানিয়েছে, নয়ডার রিয়েল এস্টেট ফার্ম সুপারটেকের (Supertech) ৪০ তলার টুইন টাওয়ারের থাকা ফ্ল্যাটের মালিকদের (Flat Owners) পুরো টাকা ফেরত দিতে হবে বিল্ডারকে।
৯ সেকেন্ডে ধ্বংস টুইন টাওয়ার
রবিবার দুপুর আড়াইটের সামান্য পরে ৪০ তলায় টুইন টাওয়ার ধুলোয় মিশে গেল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রায় ৩৭০০ কেজির বিস্ফোরক দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হল অ্যাপেক্ত ও সিয়ানের অবৈধ নির্মাণ। সময় লেগে মাত্র ৯ সেকেন্ড। টুইন টাওয়ার ধ্বংস করতে প্রস্তুতি চলেছে গত তিনদিন ধরে। টুইন টাওয়ার ধ্বংসের সাক্ষী থাকতে বহু মানুষ গাজির হয়েছিলেন সেখানে। টুইন টাওয়ারের মোট ৯০০ টি ফ্ল্যাট ছিল। যা তৈরি করতে খরচ হয়েছিল ৭০ কোটি টাকার মতো। অন্যদিকে টুইন টাওয়ার ধ্বংস করতে যে টাকা লেগেছে তাও নেওয়া হচ্ছে বিল্ডার সংস্থার কাছ থেকে।
শীর্ষ আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে ১ কোটি টাকা
শীর্ষ আদালতের তরফে সুপারটেক ফার্মকে অন্তর্বর্তীকালীন রেজোলিউশন প্রফেশনালকে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রিতে ১ কোটি টাকা জমা দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি ডিওয়াই চন্জ্রচূড়, বিচারপতি এএস বোপান্না এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চ নির্দেশে বলেছে সব ফ্ল্যাটের ক্রেতাই তাদের মূল্য ফেরত পাবেন। তবে সবাইকে আপাতত ওই ১ কোটি টাকা থেকে দেওয়া হবে। বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, এটা নিশ্চিত যে ফ্ল্যাটের ক্রেতারা ৩১ অগাস্টের নির্দেশ মতো ফ্ল্যাটের দাম ফেরত পারবেন। তবে তার আগেই আদালতের মাধ্যমে যাতে বকেয়া পাওনার কিছু পান সেই জন্য ৩০ সেপ্টেম্বরের আগে আদালতের রেজিস্ট্রিতে ১ কোটি টাকা জমা দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তী শুনানির আগেই এই টাকা জমা দিতে বিল্ডারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে বৈঠক
অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে অন্তর্বর্তীকালীন রেজোলিউশন প্রফেশনালের সঙ্গে বসবেন অ্যামিকাস কিউরি গৌরব আগরওয়াল। সেখানেই যৌথভাবে ফ্ল্যাটের ক্রেতাদের বকেয়া পাওয়া নির্ধারণ করা হবে।
আদালতে মামলা চলে ৯ বছর
যেখানে সিয়ান ও অ্যাপেক্সের উচ্চতা ২৪ তলা হওয়ার কথা সেখানে তা ৪০ তলা পর্যন্ত বাড়ানো হয়। যা নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হয় ২০১২ সালে। ২০১৪ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট টুইট টাওয়ার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। যদিও বিল্ডার সংস্থা সুপারটেক হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে। নির্মাতা সংস্থা দাবি করে সব নিয়ম মেনে টুইন টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। শুনানি শেষে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এমআর শাহ ডিভিশন বেঞ্চ ২০২১-এর ৩১ অগাস্ট জানিয়ে দেয় টুইন টাওয়ার বেআইনি। টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
৯ সেকেন্ডের বিস্ফোরণে টুইন টাওয়ার ভাঙতেই এলাকা ঢাকল ধুলোয়, নির্দেশ মাস্ক পরিধানের