বিরল দৃশ্য, পণপ্রথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে অনশনে স্বয়ং কেরলের রাজ্যপাল
বিরল দৃশ্য, পণপ্রথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে অনশনে স্বয়ং কেরলের রাজ্যপাল
দেশ যতই উন্নতির পথে এগোক না কেন এখনও ভারতে পণপ্রথার মতো কলঙ্ক বয়ে নিয়ে চলতে হয় দেশবাসীকে। বিয়ের নামে পাত্রী পক্ষের কাছ থেকে অগণিত জিনিস, নগদ টাকা নেওয়া এবং তা দিতে না পারলে নববধূর ওপর নির্মম অত্যাচার, এমনকী পণপ্রথার কারণে আত্মহত্যা, বধূ হত্যা বহু বছর ধরে চলে আসছে। তবে এই পণপ্রথার বিরুদ্ধে সরব হলেন কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। তিনি বুধবার সকাল ৮টা থেকে নিজের বাসভবনে পণপ্রথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ অনশনে বসেছেন। এই প্রথম এ ধরনের প্রথার বিরুদ্ধে এরকম প্রতিবাদ দেখা গেল।
এই অনশনের আয়োজন করেছিল একাধিক গান্ধী সংস্থা, যার সূচনা হয় কেরলের গান্ধী ভবন দিয়ে এবং পণ দেওয়া ও গ্রহণের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবাদ ছিল। বিকেল চারটের সময় রাজ্যের রাজ্যপাল এই অনশন প্রতিবাদ শেষ করবেন। এরপর তিনি গান্ধী ভবনের প্রতিবাদে সামিল হবেন এবং সেখানে সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত প্রতিবাদে বসবেন। রাজ্যের একাধিক মহিলাকে পণপ্রথার জন্য হেনস্থা হতে হয় এবং তার ফলে অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন যা দেখে গভীরভাবে আহত রাজ্যপাল এবং তিনি গত মাসেই এই ভয়ঙ্কর পণপ্রথার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবী হয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আয়ুর্বেদ মেডিক্যালের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রীর বাড়িতে যান রাজ্যপাল এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। ওই তরুণীর স্বামী গতমাসে দামি গাড়ি চাওয়ার কারণে ওই ছাত্রী আত্মঘাতী হন। মৃত তরুণীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজ্যপাল জানান যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও স্বেচ্ছাসেবীরা পণপ্রথার বিরুদ্ধে সচেতনতার প্রচার চালাচ্ছে এবং তিনি স্বেচ্ছাসেবী হয়ে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছেন।
রাজ্যপাল জানিয়েছেন পণপ্রথা সমাজের অশুভ শক্তি এবং এর বিরুদ্ধে কড়া আইনও রয়েছে। শুধুমাত্র এর বিরুদ্ধে সাধারণ ও সামাজিক সচেতনতার প্রয়োজন। গতমাসেই রাজ্যে একাধিক পণপ্রথার ঘটনা মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে নতুন পদক্ষেপ করতে বাধ্য করে এবং এ ধরনের মামলাগুলি পরিচালনার জন্য মহিলা আইপিএস অফিসার নিয়োগ করা হয়।