শীতের আগেই জম্মু–কাশ্মীরে আটক রাজনৈতিক নেতাদের স্থানান্তর করবে প্রশাসন
আর মাত্র কয়েকদিন পরই জম্মু–কাশ্মীর ঢেকে যাবে বরফের আস্তরণে। সেই সময় কোনও ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও যাতায়াত একেবারেই বন্ধ হয়ে পড়বে। এই শীতের মরশুমই ভাবিয়ে তুলেছে উপত্যকার প্রশাসনকে। কারণ ৩৭০ ধারারা বাতিলের সময় থেকে হোটেলে আটক ৩৪ জন রাজনৈতিক নেতাদের শীঘ্রই স্থানান্তর করতে হবে অন্যত্র। শ্রীনগরের সেন্টাওর হোটেলে আটক রয়েছেন ৩৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। জানা গিয়েছে, ওই হোটেলে শীতের সময় ঘর গরম করার উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায় প্রশাসন ওই আটক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের অন্য কোথাও স্থানান্তর করবে।
একটু একটু করে শীতের কামড় বাড়তে শুরু করেছে ভূস্বর্গে। ফলে ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি এবং পিপলস কনফারেন্সের নেতা সহ আটক বিশিষ্ট সামাজিক কর্মীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে নজর দিতেই এই পদক্ষেপের ভাবনা। ৫ আগস্ট কেন্দ্র সরকার উপত্যকার ওপর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে দেওয়ার ঘোষণার সময় থেকেই ওই নেতারা ডাল লেক সংলগ্ন এক হোটেলে আটক রয়েছেন।
এদিকে এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, ভারতীয় পর্যটন বিকাশ কর্পোরেশনের (আইটিডিসি) মালিকানাধীন সেন্টাওর হোটেলটি গত ৯০ দিনের জন্য ওই রাজনৈতিক নেতাদের থাকা–খাওয়ার খরচ স্বরূপ স্বরাষ্ট্র বিভাগকে ২.৬৫ কোটি টাকার বিল ধরিয়েছে। প্রশাসন অবশ্য সেন্টাওর হোটেলের ওই বিশাল অঙ্কের বিল মেটানোর দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং দাবি করেছে যে, গত ৫ আগস্ট থেকে এই হোটেলটি একরকম সহায়ক কারাগারে রূপান্তরিত হয়েছে এবং সেই জন্য সরকারি হার অনুযায়ীই এর বিল মেটানো হবে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এর ফলে হোটেলটির দৈনিক ঘরভাড়া ৫ হাজার টাকা থেকে কমে গিয়ে দাঁড়াবে দৈনিক ৮০০ টাকা ভাড়ায়।
শীতের সময় শ্রীনগরের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে চলে যায়। সদ্য ঘোষিত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু–কাশ্মীরের প্রশাসনিক দফতর শ্রীনগর থেকে জম্মুতে চলে যাবে। প্রশাসনিক আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, আটক নেতাদেরও শীত আসার আগেই অন্য কোথাও সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। সেক্ষেত্রে রেসিডেন্সি রোডের বিধায়ক আবাসন বিকল্প ব্যবস্থা হতে পারত। কিন্তু সেখানে প্রাক্তন ও বর্তমান বিধায়করা ভিড় করে রয়েছেন। সেক্ষেত্রে তাই প্রাক্তন বিধায়ক এবং কাউন্সিলররা ওই আবাসন ছাড়তে রাজি না হলে বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজে রাখতেই হবে। তাই প্রশাসন একটি সরকারি বা বেসরকারি হোটেলে সন্ধান করতে শুরু করেছে যেখানে ওই আটক রাজনৈতিক নেতাদের রাখা যায়।