উরি হামলার স্পটে সন্দেহজনক গতিবিধি, অনুসন্ধান শুরু সেনাবাহিনীর
উরি হামলার স্পটে সন্দেহজনক গতিবিধি, অনুসন্ধান শুরু সেনাবাহিনীর
উরি হামলার পাঁচ বছর পেরিয়েছে৷ পাল্টা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে পাক মদতপুষ্ট জেহাদিদের মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী৷ কিন্তু রবিবার রাতে উত্তর কাশ্মীরের উরি সেক্টরে কিছু সন্দেহজনক গতিবিধি সেনাবাহিনীর নজরে এসেছে৷ এরপরই পুরো এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে সেনা৷
কী বলছে সেনা?
সেনাবাহিনীর এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে ১৮/১৯ তারিখ রাতে উরি সেক্টরে সীমান্তে কিছু গতিবিধি দেখা গিয়েছে যা স্বাভাবিক নয়৷ তাই সেনাবাহিনী সজাগ থাকার পাশপাশি পুরো এলাকা জুড়ে তল্লাশি শুরু করেছে৷ প্রসঙ্গত ২০১৬ তে ভারতীয় সৈনিকদের পোশাকেই অর্তকিতে উরি ক্যাম্পে ঢুকে পড়েছিল পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীরা৷ সেই অতর্কিত আক্রমণ সামলাতে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে হারাতে হয়েছিল দ৬ জনকে৷ সেই কালোদিন এখনও জ্বলজ্বল করছে ক্ষতর মতো৷ তাই এবার আর কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছেন না সেনা জওয়ানরা৷ এতটুকু ফাঁকফোকর না রেখে শুরু হয়েছে উরি সেক্টরে তলাশি৷
এই প্রথম নয় অনুপ্রবেশের চেষ্টা
তবে এই প্রথম নয় এবছর উত্তর কাশ্মীরের সীমান্ত এলাকার উরি, নওগাম, তাংদার, কেরান, মাচিল এবং গুরেজ সেক্টর থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছে সন্ত্রাসবাদীরা৷ প্রআিবারই ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখে সেই চেষ্ঠা সফল হয়নি৷ যদিও সেনাবাহিনী সূত্রেই খবর গত বছরের তুলনায় এবছর অনুপ্রবেশের সংখ্যা অনেকটাই কম৷ সেনাবাহিনীর ১৯ এবং ২৭ পদাতিকবাহিনী উরি থেকে গুরেজ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণরেখায় নজরদারী চালায়। তাঁদেরও বক্তব্য আগের তুলনা হ্রাস পেয়েছে অনুপ্রবেশের চেষ্টা৷
সেনাবাহিনী সজাগ থাকছে
যদিও এরজন্য অবশ্য এই উত্তরকাশ্মীরের সীমান্ত এলাকাগুলোতে কোনও রকম ঢিলেমি দিতে নারাজ সেনা৷ সেনার এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানান, ওই সেক্টারগুলিতে সেপ্টেম্বর থেকেই ভারতী বরফ পড়া শুরু হয়৷ তবে আমরা তো আর আমাদের গার্ডদের ওখান থেকে সরাতে পারি না৷ কারণ এই বরফপাতের সুযোগ নিয়েই অনেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে।