হরিদ্বার ধর্ম সংসদ মামলায় উত্তরাখণ্ড সরকারকে নোটিস শীর্ষ আদালতের
হরিদ্বার ধর্ম সংসদ মামলায় উত্তরাখণ্ড সরকারকে নোটিস শীর্ষ আদালতের
হরিদ্বারে ধর্মসংসদের সভায় একের পর এক উস্কানি মূলক মন্তব্যের ঘটনায় উত্তরাখণ্ড সরকারকে নোটিস পাঠাল শীর্ষ আদালত। এমনকী এর পরে আলিগড়ে ধর্মসংসদের বৈঠক যাতে না বসে তার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আবেদন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে সাংবাদিক এবং মামলাকারীদের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য হরিদ্বারে ধর্মসংসদে মুসলিমদের বিরুদ্ধে একাধিক উস্কানি মূলক বক্তব্য রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় গ্রেফতারও করা হয়েছে এক সন্ন্যাসীকে।
উত্তরাখণ্ডে ধর্মসভা
গত ১৭ ডিসেম্বর উত্তরাখণ্ডে বসেছিল ধর্ম মহাসভা। সেখানে একাধিক ধর্মসংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছিলেন। ধর্ম সংসদের আয়োজন করা হলেও সেখানে ধর্মীয় সংগঠন গুলির প্রতিনিধিরা একের পর এক বিতর্কিত এবং উস্কানি মূলক বক্তব্য রেখেছিলেন। সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়কে নিশানা করে একের পর এক উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখা হয়েছিল।যদিও পুরো সভাটাই হয়েছিল রুদ্ধদ্বার। বাইরের কোনও ব্যক্তির প্রবেশাধিকার ছিল না। কেবল মাত্র আমন্ত্রিতরাই সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
ভিডিও ফাঁস
ধর্ম সংসদের সেই মহাসভার ভিডিও ফাঁস হয়ে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দিল্লির বিজেপির প্রধানের উপস্থিতিতে একের পর এক উস্কানিমূলক মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল ধর্ম সংসদের প্রতিনিধিদের। এমনকী মুসলিম প্রধানমন্ত্রী হতে দেওয়া যাবে না তার জন্য হাতে অস্ত্র তুলে নিতে বলেছিলেন তাঁরা। হিন্দুর অস্তিত্ব সংকটে পড়বে জানিয়ে তাঁদের নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে বাড়িতে অস্ত্র রাখার কথা বলেছিলেন তাঁরা। বিজেপি নেতার সামনেই নাকি এই ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন হিন্দু ধর্মের একাধিক নেতা।
সুপ্রিম কোর্টে মামলা
হরিদ্বারের ধর্ম সংসদের ঘটনা নিয়ে শেষে আদালতে মামলা দায়ের করেন একাধিক ব্যক্তি। সেই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে যে এই ধরনের উস্কানি মূলক কথা বলে সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কানি দিয়ে চলেছেন নেতারা। এতে দেশের পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক জায়গায় চলে যাবে বলে শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন মামলাকারীরা। কারণ সেই ধর্মসভায় হিন্দু রাষ্ট্র গড়ে তোলার ডাক দেওয়া হয়েছিল।
উত্তরাখণ্ড সরকারকে নোটিস
এই মামলায় উত্তরাখণ্ড সরকারকে নোটিস পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত। কেন এই ধর্মসভার অনুমতি দেওয়া হল তা জানতে চাওয়া হয়েছে। যাঁরা এই ধর্মসভার সঙ্গে যুক্ত সকলকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে আলিগড়ে পরবর্তী ধর্মসভার জন্য যেন প্রশাসনকে আপত্তি জানাতে পারে বলে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সামনেই উত্তরাখণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন তার আগে শীর্ষ আদালতের এই নোটিসে চাপ বাড়বে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
প্রতীকী ছবি