সমস্ত ধর্মীয় রূপান্তরই কি বেআইনি! মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে যা জানাল সুপ্রিম কোর্ট
সমস্ত ধর্মীয় রূপান্তরই কি বেআইনি! মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে যা জানাল সুপ্রিম কোর্ট
সমস্ত ধর্মীয় রূপান্তরই কি বেআইনি! এবার সেই প্রশ্ন উঠল সুপ্রিম কোর্টে। মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট জানাল সমস্ত ধর্মীয় রূপান্তরকে বেআইনি হিসেবে দেখা যাবে না। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে না জানিয়ে আন্তঃধর্মীয় দম্পতিরদের বিচার করা থেকে বিরত রাখার জন্য হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়।
মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আবেদনে হয়। সেই শুনানির পরই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় সমস্ত ধর্মীয় রূপান্তর বেআইনি নয়। বিচারপতি এম আর শাহ এবং সিটি-র বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। রবিকুমার একটি নোটিশ জারি করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা হাইকোর্টের আদেশে স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালত এই মর্মে কোনও নির্দেশ দিতে অস্বীকার করে। মেহতা বলেন, বিয়েকে অবৈধ ধর্মান্তরকরণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। ফলে আমরা এই বিষয়টি থেকে নজর ঘোরাতে পারি না।
হাইকোর্ট একটি অন্তর্বর্তী আদেশে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল এমপি ফ্রিডম রিলিজিয়ন অ্যাক্ট অনুসারে প্রাপ্ত বয়স্কদের ধারা ১০-এর অধীনে বিচার না করার জন্য। যারা নিজস্ব ইচ্ছার বাইরে তাদের বিবাহ অনুষ্ঠান করছে, তারাই শুধু গ্রাহ্য হবে। কিন্তু যাঁরা স্বইচ্ছায় বিবাহ করে ধর্মান্তরিত হচ্ছে, তাঁরা এই আওতায় আসবে না।
হাইকোর্টে ১৪ নভেম্বর পর্যবেক্ষণ করেছিল যে, ১০ নম্বর ধারা মোতাবেক ধর্মান্তরিত হতে ইচ্ছুক বলে একজন নাগরিককে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বয়ান দিতে বাধ্য করে। আমাদের মতে এটি অসাংবিধানিক। কোনও প্রলোভন, হুমকি বা বল প্রয়োগের ফলে বা জবরদস্তি যদি ধর্মীয় রূপান্তর হয় তা গ্রাহ্য হবে।
সম্প্রতি লাভ জিহাদ নিয়ে কর্নাটকের বিজেপি সাংসদ তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন। কর্নাটকের বিজেপি সাংসদ নলীন কাতিল ভোটের আগে বলেছেন, আপনি যদি সন্তানদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে চান, তবে আপনি লাভ জিহাদ বন্ধের জন্য দাবি তুলুন। আর বিজেপির প্রয়োজন লাভ জিহাদ বন্ধের সুপারিশ করা।
কর্নাটক কংগ্রেসের প্রধান ডি কে শিবকুমার বলেন, এর থেকে খারাপ আর কী হতে পারে। তারা উন্নয়নের দিকে তাকাচ্ছে না, তারা ঘৃণার দিকে তাকাচ্ছে। তারা দেশকে বিভক্ত করার দিকে তাকিয়ে আছে। তাই আমরা শুধু উন্নয়নের দিকে তাকিয়ে আছি। আমরা উন্নয়নের দাবি তুলছি।
উল্লেখ্য, মুসলিম পুরুষরা হিন্দু মহিলাদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্মান্তরিত করতে বাধ্য করে। এই অর্থেই লাভ জিহাদ শব্দটি ব্যবহার হয়। মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশের মতো বিজেপিশাসিত রাজ্যে লাভ জিহাদের মোকাবিলায় আইন প্রণয়ণ হচ্ছে। কর্নাটকে জোরপূর্বক ধর্নান্তরকরণের বিরুদ্ধে আইন আছে। কিন্তু লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে আইন নেই।
প্রাথমিকে ১৪০ জনের চাকরি বাতিল, বেতন বন্ধেরও সুপারিশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের