আর্থিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির সংরক্ষণে সবুজ সংকেত শীর্ষ আদালতের
আর্থিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির সংরক্ষণে সবুজ সংকেত শীর্ষ আদালতের
আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ সাংবিধানিক ভাবে বৈধ। মামলায় এমনই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সোমবার এমনই রায় দিয়েছে। অর্থাৎ আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির ১০ শতাংশ সংরক্ষে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের আগে মোদী সরকারের বড় জয় সুপ্রিম কোর্টে। সমাজে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণেকে সাংবিধানিক ভাবে বৈধ জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। অর্থাৎ সরকারের এই সংরক্ষণ কার্যকর করতে আর কোনও বাধা থাকল না।
সুপ্রিম কোর্টের সবুজ সঙ্কেত
আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণে সবুজ সঙ্কেত সুপ্রিম কোর্টের। সোমবার সকাল থেকেই এই নিয়ে উত্তেজনা ছিল। গুজরাত ভোটের কারণেই এই সংরক্ষণ কার্যকর করতে চাইছে মোদী সরকার এমনই অভিযোগ করেছিলেন বিরোধীরা। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছিল। শেষে মোদী সরকারের সমর্থনেই রায় দিয়েছে সু্প্রিম কোর্ট। পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ সাংবিধানিক ভাবে বৈধ। অর্থাৎ এই সংরক্ষণে কোনও সমস্যা নেই এমনই জানিয়েছেন বিচারপতিরা।
কী জানাল সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির বেঞ্চে উঠেছিল মামলাটি। সেই বেঞ্জে ছিলেন বিচারপতি দীণেশ মহেশ্বরী, বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট, বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি জে বি পারডিওয়ালা। প্রথমে কার্যত দ্বিধাবিভক্ত ছিলেন বিচারপতিরা। বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী, বিচারপতি ত্রিবেদী এবং বিচারপতি পারডিওয়ালা ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সমর্থনে ছিলেন। অন্যদিকে বিচারপতি ভাট এবং বিচারপতি ললিত তাতে নিমরাজি ছিলেন। তারপরে বিচারপতি মহেশ্বরী বলেন তাঁরা এই মামলার কয়েকটি বিষয় খুঁটিয়ে দেখে তবে সিদ্ধান্ত জানাবেন। এই সংরক্ষণে ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের আইনে আঘাত আনছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তাঁরা
সাংবিধানিক ভাবে বৈধ
বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা চলার পর বিচারপতি মহেশ্বরী জানান, যে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ করলে কোনও ভাবেই ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের নীতি ব্যহত হচ্ছে না। ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের আইনে যখন আঘাত আসছে না তখন এই ১০ শতাংশ সংরক্ষণ সাংবিধানিক ভাবে বৈধ। কাজেই এই সংরক্ষণ চালু করাই যেতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের গ্রিন সিগনালের পর আর এই সংরক্ষণ কার্যকর করতে কোনও বাধা রইল না। গুজরাত এবং িহমাচল প্রদেশের বিধানসভা ভোটের আগে অনেকটাই সুবিধা জনক অবস্থানে চলে গেল মোদী সরকার।
শিক্ষা ও চাকরিতে সংরক্ষণ
সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর শিক্ষা এবং চাকরি ক্ষেত্রে এবার থেকে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে। এতে সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকে এগিয়ে আনতে আনতে সাহায্য করবে। পিছিয়ে পড়া শ্রেণির উন্নয়নের লক্ষ্যে এবং তাঁদের সমাজের মূল স্তরে ফিরিয়ে আনতে অনেকটাই কাজ করবে এই সংরক্ষণ নীতি এমনই জানিয়েছেন বিচারপতি মহেশ্বরী।