চিনের চাপে ভারত নিজের এলাকা থেকে সেনা সরাচ্ছে, টুইটারে দাবি সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর
চিনের চাপে ভারত নিজের এলাকা থেকে সেনা সরাচ্ছে, টুইটারে দাবি সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর
সোমবারের মধ্যেই গোগরা হটস্প্রিং এলাকা থেকে ভারত ও চিন তাদের সেনা সরিয়ে নেওয়ার কাজ শেষ করবে। ভারত ও চিনের ১৬ দফা সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরের বৈঠকের পরেই দুই দেশ পেট্রোল পয়েন্ট ১৫ বা গোগরা হটস্প্রিং এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে। এই বিষয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তিনি বলেন, ভারত নিজেদের এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নিয়েছে। আর চিন ভারতের এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নিতে সম্মত হয়ছে।
টুইটারে কী বলেছেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী
সোমবার সকালে টুইট করে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারত ও চিন এলএসির উভয় পাশ থেকে সেনা সরাতে সম্মত হয়েছে। আর এই প্রতিবেদনে চিনের নাগরিকরা হাসছেন। বিষয়টি হল, ভারত তাদের নিজেদের অঞ্চল থেকে সেনা সরিয়েছে। এভাবেই চিনের দাবি আমার যা তা আমার, তোমার যা তাও আমার দাবি সত্যি হয়ে গেল।'
গোগরা হটস্প্রিং এলাকা থেকে সরছে সেনা
বৃহস্পতিবার ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, সোমবারের মধ্যে ভারতীয় ও চিনা সেনাবাহিনী গোগরা হটস্প্রিং এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেবে। ২৮ মাসের বেশি সময় ধরে ভারতীয় ও চিনা সেনাবাহিনীর মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলে। ১৬ দফা বৈঠকের পর উভয় দেশ গোগরা-হটস্প্রিং এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহারের সম্মত হয়। দুই বছর আগে সীমান্ত পেরিয়ে চিনের সেনারা ভারতীয় অঞ্চলে ঢুকে পড়ে। একাধিক অঞ্চলে চিন সেনারা অবস্থান করতে শুরু করে। এতদিন গোগরা হটস্প্রিং অঞ্চলেও ভারতীয় ও চিনা সেনারা মুখোমুখি অবস্থান করছিলেন।
এক বছর পর সেনা সরাতে সম্মত
এলএসি বরাবর ভারত ও চিনের সামরিক বাহিনীর সেনা সরানোর কর্মসূচি এক বছরের বেশি সময় ধরে আটকে ছিল। ২০২১ সালের ৩১ জুলাই কর্পস কমান্ডো ব়্যাঙ্কড আধিকাধিরকদের সঙ্গে ১২ দফা সামরিক স্তরের বৈঠকের পর উভয় দেশ গোগরা সেক্টর থেকে নিজেদের সেনা সরিয়ে নিতে সম্মত হয়। ২০২১ সাবের ৪-৫ অগাস্টের মধ্যে দুই দেশের সেনাবাহিনী পিপি-১৭এ বা গোগরা সেক্টর থেকে সেনা সরিয়ে নেয়। তার প্রায় এক বছর পর ১৩ সেপ্টেম্বর গোগরা হটস্প্রিং এলাকা থেকে দুই দেশের সেনাবাহিনী তাদের সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়।
লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা
২০২০ সাল থেকে এলএসি বরাবর ইন্দো-চিন সীমান্ত বরাবর উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। সীমান্ত বরাবর নির্মাণ নিয়ে দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনা শুরু হয়। লাদাখ সীমান্তে বাফার জোনের কাছে চিনের অবৈধ নির্মাণ নিয়ে উত্তেজনা শুরু হয়। সীমান্তে সেনা মজুত করতে শুরু করে চিন। দুই দেশের সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়। এরপরেই গালওয়ান সীমান্তে দুই দেশের সেনারা মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ঘটনায় ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হয়।
চরম হেনস্তা, শারীরিক নির্যাতনের শিকার দুই ট্রাক ড্রাইভার, কাঠগড়ায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ