Miraculous Hanuman Temple: ভারতের এই মন্দিরে উলটো ভাবে ঝুলে রয়েছেন হনুমানজী! কারণ জানলে চমকে উঠবেন
তবে সেগুলির পিছনে থাকা রহস্যের কোনও সমাধান পাওয়া যায়নি। গোটা দেশজুড়ে বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে আছে হনুমান মন্দির (Hanuman Temple)। সেই সমস্ত মন্দির ইতিহাস চমকে দেওয়ার মতো। তেমনই এক মন্দির রয়েছে মধ্য প্রদেশে।
রামভক্ত হনুমানের (Hanuman) এর চমৎকারের শেষ নেই। কখন যে কি লীলা দেখান তা তিনিই জানেন। আজও ভগবানের বিভিন্ন ধরনের চমৎকার দেখতে পাওয়া যায় এই জগত সংসারে।
তবে সেগুলির পিছনে থাকা রহস্যের কোনও সমাধান পাওয়া যায়নি। গোটা দেশজুড়ে বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে আছে হনুমান মন্দির (Hanuman Temple)। সেই সমস্ত মন্দির ইতিহাস চমকে দেওয়ার মতো।
তেমনই এক মন্দির রয়েছে মধ্য প্রদেশে। যেখানে পবন পুত্র হনুমানের উল্টানো মূর্তি (Ulti Statue) দেখতে পাওয়া যায়। এই মন্দিরে উল্টানো থাকা এই হনুমান মূর্তির পুজো হয়ে থাকে।
কথায় আছে উল্টানো অবস্থায় থাকা হনুমাণজী কখনও তাঁর ভক্তদেরত খালি হাতে ফেরান না। আর সেই কারনে এই মন্দিরে রামভক্ত হনুমানজীর দর্শন করতে দেশের কোনা কোনা থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন।
চমৎকারী উল্টে হনুমানজীর প্রতিমা
মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে সানওয়ার গ্রাম (Sanwer Village)। আর সেখানেই উল্টে হনুমানের পুজো হয়ে থাকে। প্রচলিত রয়েছে, এই মন্দিরে তিন কিংবা পাঁচটি প্রত্যেক মঙ্গলবার গিয়ে হনুমানজীর দর্শন করলে জীবনের সমস্ত দুঃখ-কষ্ট নাকি জীবন থেকে চলে যায়।
শুধু তাই নয়, হনূমানজী কখনও তাঁর ভক্তদের সমস্ত মনোকামনা পূর্ণ করে। উলটা হনুমানজীর প্রতিমাতে যদি মন থেকে ছোলা দেওয়া হলে নাকি সম্পূর্ণ মনস্কামনা পূর্ণ হয়ে থাকে।
কিন্তু কেন উল্টানো প্রতিমা কেন?
এই মন্দিরে হনুমানজীর উল্টানো মূর্তি নিয়ে নানা কাহিনী রয়েছে। তবে ওই এলাকার মানুষের বিশ্বাস, রাম এবং রাবনের যুদ্ধের সময় রাবন তাঁর রূপ বদলে ফেলে। আর তা বদলে ফেলে ভগবান রামের (Lord Ram) সেনাবাহিনীতে ঢুকে পড়েছিল রাবণ।
সবার নজর এড়িয়ে অহিরাবনের রূপ ধরে এই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন তিনি। রাতে যখন রাম-লক্ষন শুয়ে ছিল সেই সময়ে একেবারে ঘাড়ধরে তাঁদের দুজনকে পাতাল লোকে (Patal Lok) নিয়ে যায় ছদ্দবেশি রাবণ।
আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা বানর সেনা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। ভগবান রাম এবং তাঁর ভাই লক্ষ্মণকে উদ্ধার করতে পাতাল লোকে পৌঁছে যান হনুমানজি।
অহিরাবনকে বধ করে হনুমান
সেখানে ছদ্মবেশে থাকা অহিরাবনকে বধ করে হনুমান। আর রাম-লক্ষ্মণকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। কথায় আছে যেখানে এই মন্দির রয়েছে সেখান থেকেই নাকি হনুমানজি পাতাল লোকে প্রবেশ করেছিল। আর পাতাললোকে প্রবেশ করার সময়ে হনুমাণজির মাথা নীচের থেকে ছিল। আর সেই কারনে এই মন্দিরে হনুমানজির এমন উল্টানো মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে।
হনুমানজী একটা বিশ্বাস
অনেকে হনুমানজির পুজো করে থাকেন। মঙ্গলবার ভক্তি করে তাঁকে ডাকলে কখনও ভক্তকে খালি হাতে ফেরাননা তিনি।