১০ টাকার বেশি চাঁদা জুটল না আম আদমি পার্টির সাত প্রার্থীর!
গুজরাতে নরেন্দ্র মোদীর রাজত্বে কোনও উন্নয়ন হয়নি বলে বারবার দাবি করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কিছুদিন আগে সশরীরে এসেওছিলেন। রাজ্যের ২৬টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২৪টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে তাঁর দল। আম আদমি পার্টি বলেছে, এই আসনগুলিতে তারা হেসেখেলে জিতবে।
অথচ বাস্তবে কিন্তু অন্য ইঙ্গিত মিলছে। আম আদমি পার্টির অন্তত সাতজন প্রার্থী চাঁদা পেয়েছেন দশ টাকা! এঁরা হলেন আনন্দ আসনের প্রার্থী রাওজি পরমার, ছোটে উদেপুর আসনের অর্জুন রাঠওয়া, দাহোদ আসনের কে সি মুনিয়া, জামনগর আসনের রাজেন্দ্র ঝালা, খেড়া আসনের লভু বধিওয়ালা, মেহসানা আসনের বন্দনা প্যাটেল এবং নবসারি আসনের মেহুল প্যাটেল। এই তথ্য কংগ্রেস বা বিজেপি দেয়নি, পাওয়া যাচ্ছে আম আদমি পার্টির ওয়েবসাইট থেকেই।
সবচেয়ে বেশি চাঁদা পেয়েছেন জুনাগড় আসনের অতুল শেখড়া। তিনি ৩৩,৩২১ টাকা পেয়েছেন। নন্দলাল সুখাড়িয়া পেয়েছেন ৩০,৯৭৭ টাকা চাঁদা। ২৪ জন প্রার্থীর মিলিত চাঁদার পরিমাণ ১.৩১ লক্ষ টাকা।
তবে হতাশ নন দলীয় নেতারা। রাওজি পরমারের ব্যাখ্যা, "আমরা নতুন দল। তাই ভালো পরিমাণ চাঁদা তুলতে পারছি না। দলের কর্মীরা নিজেদের পকেট থেকে টাকা খরচ করছে। কিছু সহৃদয় মানুষ জনসভায় চা, জলখাবারের ব্যবস্থা করছেন।"
আর এক প্রার্থী অর্জুন রাঠওয়া বলেন, "আমি দশ টাকা চাঁদা তুলেছি। আসলে আমি যে লোকসভা আসন থেকে দাঁড়িয়েছি, সেখানে গরিব উপজাতিরাই বেশি। এদের বেশি টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই। টাকার অভাবে ভোটের প্রচারে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।"
গুজরাতের রাজ্য রাজনীতি নিয়ে অভিজ্ঞ বিশ্লেষক দীনেশ শুক্লা বললেন, "অরবিন্দ কেজরিওয়াল যতই দাবি করুন, গুজরাতে আম আদমি পার্টি পরিচিত মুখ নয়। তাই মানুষের সমর্থনও তেমনভাবে পাচ্ছে না। ওদের প্রার্থীরা অর্থের অভাবে ভুগছে এই কারণেই।"