পাটনায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণে মৃত ৫, নিশানা মোদীর সভাস্থল
বরিবার সকাল দশটা থেকে দুপুর একটার মধ্যে পর পর ৮টি বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের অধিকাংশই মোদীর সভাস্থল গান্ধী ময়দান ও তার আশপাশ এলাকায় হয়। প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে সকাল সাড়ে ন'টায়। পাটনা রেল স্টেশনে। ১০ নম্বর প্ল্যাটফর্মের একটি শৌচাগারে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হয় একজনের। যদিও এই বিস্ফোরণের ক্ষেত্রে কম তীব্রতার বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে বলে পুলিশের দাবী। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে মোদীর বক্তৃতা শুরু হওয়ার আগে সভামঞ্চ থেকে প্রায় দেড়শো মিটার দূরে দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে। এর পর সভাস্থলেই আরও ৬টি বিস্ফোরণ পর পর ঘটে। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। মানুষ দিশেহারা হয়ে ছুটোছুটি শুরু করে দেয়। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকে। আহতদের পাটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মোদির সভা শেষ হওয়ার পরই সভাস্থলজুড়ে তল্লাশি চালানো হয়। এই সময় আরও একটি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বোমাটি নিস্ক্রিয় করা গেলেও পাটনা স্টেশন থেকে উদ্ধার হওয়া একটি বোমা নিস্ক্রিয় করতে গেলে বিস্ফোরণে বোম স্কোয়াডের এক কর্মী গুরুতর জখম হন।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। নীতিশ জানিয়েছেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই মোদীর হুঙ্কার সমাবেশের দিনকেই 'টার্গেট' করা হয়েছে। মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন নীতিশ। পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসার সমস্ত দায়ভার রাজ্য বহন করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বরিবার এই ঘটনার নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। বিস্ফোরণ নিয়ে বিহার সরকারের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যদিও নীতিশের দাবী নিরাপত্তায় কোনও রকম ফাঁক রাখা হয়নি। এমনকী বিস্ফোরণের আগাম কোনও খবর রাজ্য বা কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির কাছে ছিল না। তবে ঘটনার তদন্তে কোনও ফাঁক রাখা হবে না বলেও আশ্বাস দিয়ছেন নীতিশ কুমার। এই বিস্ফোরণ পরিকল্পনা মাফিক বলে ওমন্তব্য করেন তিনি।