রিগিংয়ের অভিযোগ, ৪৩ বুথের ভিডিও ফুটেজ চাইল ভোট কমিশন
৩০ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের যে ন'টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হয়েছিল, তার অন্তর্গত বিভিন্ন বুথে ব্যাপক রিগিং হয় বলে অভিযোগ তুলেছিল সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি। সব ক্ষেত্রেই অভিযোগ ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক সুধীরকুমার রাকেশ জানিয়ে দেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। এর জেরে তাঁর সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে বিরোধীরা। সিপিএম দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ভি এস সম্পতের সঙ্গে দেখা করে। কংগ্রেস ও বিজেপি কিছু অসম্পাদিত ভিডিও ক্লিপিংস জমা দেয়। এর জেরে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয় নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। চতুর্থ ও পঞ্চম দফার ভোটে লাইনেই ভোটারদের সচিত্র পরিচয়পত্র যাচাই করে দেখা হবে। প্রথম তিন দফার ভোটে এই ব্যবস্থা ছিল না। এটা চালু হলে বুথ জ্যাম বা লাইনে ভুয়ো ভোটার দাঁড়ানোর মতো পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হবে। পরের দু'দফার ভোটের ক্ষেত্রে সুধীরকুমার রাকেশের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে স্পর্শকাতর বুথের যে তালিকা জেলাশাসক ও পুলিশ সুপাররা পাঠান, সেগুলি খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। এই কমিটিতে আরও যে দু'জন আছেন, তাঁরা হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) সুনীল গুপ্তা এবং রাজ্য পুলিশের এডিজি এম কে সিং।
প্রসঙ্গত, যে ৪৩টি বুথের অসম্পাদিত ভিডিও ফুটেজ তলব করা হয়েছে, সেইগুলি বর্ধমান পূর্ব, আরামবাগ, হাওড়া, হুগলি, বোলপুর ও বীরভূম কেন্দ্রের অন্তর্গত। যদিও এর পরেও সুধীরকুমার রাকেশের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, "বহরমপুরে এখনও নির্বাচন বাকি রয়েছে। সুধীরকুমার রাকেশ থাকলে বহরমপুরে অবাধ নির্বাচন হবে বলে আমার বিশ্বাস হয় না। তাই তৃণমূল কংগ্রেস কর্তৃক বুথ দখল ও সন্ত্রাস ঠেকাতে কংগ্রেস কর্মীদের রাস্তায় নামতে বলে দিয়েছি।" হুগলী লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী চন্দন মিত্র বলেন, "নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নিতেই হবে। নইলে পশ্চিমবঙ্গে বাকি দু'দফার ভোট প্রহসনে পরিণত হবে।"