নির্বাচনের আগেই রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন! নিজ গড়ে ফিরেই সমর্থকদের উদ্দেশ্যে নয়া বার্তা শশীকলার
ফের নামতে চলেছেন রাজনীতির ময়দানে, নয়া বার্তা শশীকলার
করোনা মুক্তির পর হাসপাতাল থেকেও বাড়ি ফিরেছিলেন দলীয় পতাকা লাগানো গাড়িতেই। জল্পনা শুরু হয়েছিল তখন থেকেই। এবার নিজ গড়ে ফিরেই সমর্থকের উদ্দেশ্যে দিলেন নয়া বার্তা। এমনকী শীঘ্রই যে তিনি ফের রাজনীতির ময়দানে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন সেই ইঙ্গিতও দিয়ে রাখলেন বহিষ্কৃত এআইএডিএমকে নেত্রী শশীকলা। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোরদার চাপানৌতর।
নিজ গড়ে ফিরে কী বললেন সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ?
এমনকী আসন্ন নির্বাচনে শাসকদলের ভিত নড়িয়ে দেওয়ার জন্য যে ইতিমধ্যেই তিনি জোর কদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন সেই কথাও আকারে ইঙ্গিতে জানাতে ভুললেন না। এদিকে দুর্নীতির অভিযোগে চার বছর সাজা কাটানোর পর গত ২৭ জানুয়ারি জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন শশি। এদিন চেন্নাইতে ফিরেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েই শশীকলাকে বলতে শোনা যায়, "শীঘ্রই আপনাদের সাথে দেখা হবে, আবারও পুরোপুরি ভাবে রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চলেছি।"
মহাসমারোহে চেন্নাইয়ে স্বাগত জানানো হয় শশীকলাকে
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বেঙ্গালুরুর প্রেস্টিজ গল্ফশায়ার ক্লাব থেকে এ দিন সকালে শশীকলা তামিলনাড়ুর উদ্দেশে রওনা দেন। সেখানে তাঁকে বিদায় জানানোর জন্য হাজির হন শতাধিক সমর্থক। অন্যদিকে চেন্নাইয়ে জয়ললিতার ছায়া সঙ্গী তথা প্রাক্তন এআইডিএমকে নেত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত হন কয়েকশো সমর্থক। তাঁদের কারও হাতে প্ল্যাকার্ডে লেখা 'রাজমাতা', 'গার্ডিয়ান গডেস'।
৬৬ কোটি টাকার তছরুপের অভিযোগ শশীকলার বিরুদ্ধে
এদিকে ২০১৬ সালে ডিসেম্বরে মৃত্যু হয় তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মন্ত্রী জয়ললিতার। মৃত্যু পর্যন্ত 'আম্মা'র ছায়াসঙ্গী ছিলেন শশীকলা। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পরেই এআইএডিএমকেতে বড়সড় চিড় ধরে যায়। একপক্ষ শশীকলাকেই রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরেন। ২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি, এআইএডিএমকের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন শশীকলা। তার মুখ্যমন্ত্রী হওয়া একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গেলেও তাঁর বিরুদ্ধে ৬৬ কোটি টাকার তছরুপের অভিযোগ ওঠে। জেলে যেতে হয় এই দুঁদে রাজনীতিবিদকে।
শশীকলার মুক্তিতে চাপে শাসকদল
এদিকে শশীকলার কারাবাসের নেপথ্যে পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ার 'অভিযোগ' ওঠে একথা তাঁরই ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ই পালানিস্বামীর বিরুদ্ধে। এদিকে শশীকলা জেলে যাওয়ার পর দীর্ঘদিন তামিলনাড়ুর ক্ষমতা নিয়ে রেষারেষি চলেছিল পালানিস্বামী এবং বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী পনিরসেলভামের মধ্যে। যা নিয়ে দলের অভ্যন্তরেই একাধিক তত্ত্ব রয়েছে। কিন্তু এমতাবস্থায় শশীকলার মুক্তি যে রাজ্যের শাসকদলকে নতুন করে অস্বস্তিতে ফেলল তা বলাই বাহুল্য। এমনকী আসন্ন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই শশীকলাও যে এবার আঁটঘাট বেঁধে মাঠে নামতে চলেছেন, সে ইঙ্গিতও দিয়ে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই।
তৃণমূলের মুসলিম ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসছে, একুশের নির্বাচনে বিজেপির কি লাভ হবে