হরিদ্বার ধর্ম সংসদ নিয়ে প্রশ্ন, মাঝপথে সাক্ষাৎকার বন্ধ করে দিলেন বিজেপি নেতা
হরিদ্বার ধর্ম সংসদ নিয়ে প্রশ্ন, মাঝপথে সাক্ষাৎকার বন্ধ করে দিলেন বিজেপি নেতা
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের ডোপুটি মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন! সেখানেই হরিদ্বার ধর্ম সংসদে এক সাধুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে৷ এই প্রশ্নে স্পষ্টতই ক্ষিপ্ত হয়ে, মাঝপথে সাক্ষাৎকার বন্ধ করে, রিপোর্টারের মাস্ক ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল মৌর্যর বিরুদ্ধে! বিবিসি নামক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমটির আরও অভিযোগ এখানেই থামেননি মৌর্য সঙ্গেই ক্যামেরা থেকে ফুটেজ মুছে ফেলতে বাধ্য করেন ক্রুদের!
যদিও সংশ্লিষ্ট চ্যানেলের পক্ষ থেকে পরে জানানো হয়, উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী মিঃ মৌর্য পরে পুরো ঘটনাটিকে 'দুর্ভাগ্যজনক' বলে উল্লেখ করেছেন৷ একটি জাতীয় বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত রিপোর্ট, সাক্ষাৎকার চলাকালীন কেশব মৌর্যকে হরিদ্বারের ধর্মীয় সম্মেলন এবং ইউপি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সহ দলের শীর্ষ নেতাদের চুপ নীরবতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তাঁর কাছে আরও জানতে চাওয়া হয় যে এই ধরনের বিদ্বেষমূলক ঘোষণার বিরুদ্ধে বিজেপি নেতাদের বক্তব্যে জনগণকে আশ্বস্ত করা উচিত কিনা জানতে চাওয়া হয়!
যার উতরে মৌর্য বলেন আমাদের কিছু প্রমাণ করার দরকার নেই। আমরা 'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ (সকলের সম্মতিতে সকলের উন্নতি)-এ বিশ্বাস করি। যে কোনও ধর্মীয় নেতাদের অধিকার আছে নিজেদের প্রকাশ। তাও শুধু কেন হিন্দু ধর্মীয় নেতাদের বারবার স্পটলাইটে নিয়ে আসা হয় তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মৌর্য। তিনি যোগ করেন, কেন শুধু হিন্দু নেতাদের কথা জিজ্ঞেস করছেন? অন্য ধর্মেডর নেতারা আগে যে সব মম্তন্য করেছেন সেই সম্পর্কে আপনারা কী বলবেন? ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার আগে কতজনকে জম্মু ও কাশ্মীর ছাড়তে হয়েছিল, আপনি কেন সে সম্পর্কে কথা বলছেন না?
এখানেই থামেননি মৌর্য তিনি সাক্ষাৎকার নেওয়া ব্যক্তিটির কাছে আরও জানতে চান, আপনি যখন কোনও প্রশ্ন উত্থাপন করেন, সেগুলি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কোনও একটি দলের জন্য হওয়া উচিত নয়। ধর্ম সংসদ বিজেপির অনুষ্ঠান নয়। এটা ধর্মীয় নেতাদের বিষয়, তাঁরাই এর উত্তর দিতে পারবেন৷ ধর্মগুরুরাই বলতে পারেন তারা কি বিশ্বাস করেন। এটি রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। দেশে মুসলিম এবং খ্রিস্টান নেতারাও আছেন। তাদের সম্পর্কেও কথা বলুন।