ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের তালিকা প্রকাশ, নাম নেই বিজয় মাল্য ও নীরব মোদীর
ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের তালিকা প্রকাশ, নাম নেই বিজয় মাল্য ও নীরব মোদীর
ভারতে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের সংখ্যা ২০১২ সাল থেকে প্রায় ১০ গুন হয়ে গিয়েছে। যার অর্থমূল্য ২.৪ ট্রিলিয়ন টাকা বলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। রিজাভ ব্যাঙ্কের সেই রিপোর্টে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের তালিকায় ওপরের দিকে রয়েছে শিপিয়ার্ড কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা, সন্দেশরা ভাই নীতিন এবং চেতন।
কাদেরকে বলা হয় ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, যাঁরা ক্ষমতা থাকার পরেও ব্যাঙ্কের ঋণ শোধ করেনি তাদের ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি বলা হচ্ছে। এছাড়াও যে সমস্ত সংস্থাগুলোকে এক কাজের জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ দেওয়া হয়েছিল, তারা অন্যকাজে সেই অর্থ ব্যবহার করেছে। পরে ঋণ শোধ দেওয়ার অবস্থায় নেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সংজ্ঞায় তারাও ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি। ২৫ লক্ষ টাকা বা তার বেশি ঋণ কোনও সংস্থা বা ব্যক্তির বকেয়া থাকলে, তাদের তালিকায় রাখা হচ্ছে জানা গিয়েছে, আরবিআই ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের তালিকায় ঋষি আগরওয়াল, অরিন্দম ধাম, সন্দেশরা ভাইদের শীর্ষে রাখা হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফে একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপির ১২০০ টির বেশি কেস ছিল।
ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপির বকেয়া অর্থ ২.৪ ট্রিলিয়ন টাকা
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দেশে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপির বকেয়া অর্থের পরিমাণ ২.৪ ট্রিলিয়ন টাকা। কেন্দ্রীয় সংস্থার গ্রামীণ প্রকল্প এমজিএনআরইজি-এর মোট বাজেটের ৪৫ শতাংশ। ২০২২ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বাজেট ছিল ৮৬,২০০ কোটি টাকা। বকেয়া অর্থের প্রায় ২.৭ গুন। তালিকার শীর্ষে রয়েছে এপিজি শিপিয়ার্ড লিমিটেড। ঋষি আগরওয়াল হলেই এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। আরবিআই জানিয়েছে, শিপিয়ার্ড লিমিটেডের বিরুদ্ধে ৬,৩৮২ কোটি টাকার ঋণ খেলাপির অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে অরিন্দম ধামের সংস্থা অ্যামটেক অটো লিমিটেডের বিরুদ্ধে ৫,৮৫ কোটি টাকার ঋণ খেলাপির অভিযোগ রয়েছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে সন্দেশরা ভাই নীতিন ও চেতন। স্টার্লিং গোবাল ওয়েল রিসোর্সেস প্রাইভেট লিমিটেড ও তাদের সহযোগী সংস্থার বিরুদ্ধে ৩,৭৫৭ কোটি টাকা ঋণ খেলাপির অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে তাঁরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
ঋণ খেলাপির তালিকার শীর্ষে মহারাষ্ট্র
ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের তালিকার একেবারে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এই রাজ্য দেশের মোট ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপির ৩৪ শতাংশ দায়ী। এরপরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। এর হার দেশের মোট ঋণ খেলাপির ১৭.৫ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলা। মোট ইচ্ছাকৃত খেলাপির ৪.৪ শতাংশ বাংলা থেকে হয়েছে। আরবিআই রিপোর্ট অনুযায়ী ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপির তালিকায় নেই বিজয় মাল্য ও নীরব মোদীর নাম। দুজনেই ভারত থেকে পালিয়ে ব্রিটেনে আশ্রয় পেয়েছেন। তবে এই তালিকায় নীরব মোদীর কাকা মেহুল চোকসির নাম রয়েছে।