জিএসটির অর্থ অর্থনৈতিক সর্বনাশ! নতুন ভিডিওতে রাহুল বিঁধলেন মোদী সরকারকে
জিএসটির অর্থ অর্থনৈতিক সর্বনাশ! নতুন ভিডিওতে রাহুল বিঁধলেন মোদী সরকারকে
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী জিএসটি নিয়ে তোপ দাগলেন কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে। তিনি মোদী সরকারের ভ্রান্ত নীতিকেই দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বা জিডিপিতে আঘাতের জন্য দায়ী করেছেন। তিনি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছরের প্রথম এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ভারতের জিডিপি সংকোচনের কথা উল্লেখ করে তোপ দেগেছেন সরকারকে।
জিএসটি মোদী সরকারের গব্বর সিং ট্যাক্স
রবিবার সকালে টুইট করে রাহুল গান্ধী জানান, "জিডিপিতে ঐতিহাসিক পতনের একটি বড় কারণ হল মোদী সরকার জিএসটিকে গব্বর সিং ট্যাক্স-এর মতো ব্যবহার করছে। এটি অনেকটা অপচয়ের মতো। ছোট ব্যবসা, লক্ষ লক্ষ চাকরি ও তারুণ্যের ভবিষ্যত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এই জিএসটির ফলে।
জিএসটি মানে অর্থনৈতিক সর্বনাশ
রাহুল গান্ধী আরও বলেন, রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও খারাপ হচ্ছে মোদী সরকারের এই নীতির ফলে। মোদী সরকারের আমলে জিএসটি মানে অর্থনৈতিক সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে। এভাবেই কটাক্ষের বাণবর্ষণ করেছেন রাহুল গান্ধী। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি টুইট-ভিডিও বার্তায় সরকাররে বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।
জিএসটি মানে বঞ্চনা, বললেন রাহুল
রাহুলের তাঁর টুইটের চারটি ভিডিও সিরিজের একটিতে বলেছেন যে, ১৫-২০ জন ব্যবসায়ীকে করের অর্থ প্রদানের সুযোগ করে দিয়েছেন। কিন্তু কৃষক, শ্রমিক ও ছোট ব্যবসায়ীকে একইরকম সুবিধা দেননি। তাঁদের জিএসটি হেরফের করার কোনও সুযোগ না দিয়ে এই সরকার বঞ্চনা করেছে।
কেন চারটি আলাদা হারে জিএসটি?
রাহুলের কথায়, "ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা এই কর দিতে পারে না। বড় সংস্থাগুলি ৫-১০-১৫ অ্যাকাউন্ট্যান্টকে দিয়ে কাজটি সহজেই হাসিল করতে পারে। কেন চারটি আলাদা হারে জিএসটি? তার কারণ সরকার চায় যারা সহজে জিএসটি পরিবর্তন করতে সক্ষম হতে পারে এবং যাদের অর্থ নেই তারা জিএসটি সম্পর্কে কিছুই করতে পারে না।
পাঁচটি ভিন্ন হারের আওতায় জিএসটি, কটাক্ষ
২০১৭-র ১ জুলাই থেকে পাঁচটি ভিন্ন হারের আওতায় দেশে গুড অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স আদায় হয়। শূন্য শতাংশ, ৫ শতাংশ, ১২ শতাংশ, ১৮ শতাংশ এবং ২৮ শতাংশ। বিরোধী দলগুলি করের এই ভিন্ন হার এবং জটিলতা নিয়ে জিএসটির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এই কর সংস্কারকে ব্যাপক সমালোচনা করেছে বিরোধীরা।
|
জিএসটি সম্পূর্ণ ব্যর্থ, বললেন রাহুল
রাহুল গান্ধী বলেন, জিএসটি সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এটি ভারতীয় অর্থনীতির কাছে বিরাট ক্ষতিকর। ভারত সরকার রাজ্যগুলিকে জিএসটি ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদান করতে অক্ষম। ফলে রাজ্যগুলি রাজ্য কর্মচারী, শিক্ষকদের অর্থ দিতে অক্ষম হয়ে পড়ছে। তিনি আরও বলেন, এটি কেবলমাত্র ব্যর্থই নয়, এটি দরিদ্র এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীর কাছে অভিশাপও।
প্রশান্ত কিশোরের ভরসা 'জয় শ্রীরাম’-এ! একুশের ভোট-কৌশল বদল নতুন সমীকরণে