করোনা আবহেই দিল্লিতে কোয়াডভুক্ত দেশগুলির বৈঠক! চিনকে কোণঠাসা করতে মাস্টারস্ট্রোক ভারতের
চিনকে কোণঠাসা করার বিষয়ে ভারত-মার্কিন পারস্পরিক বোঝপড়া আরও সুদৃঢ় করতে এবার বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে দিল্লি। জানা গিয়েছে করোনা আবহেই এবার দিল্লিতেই কোয়াডভুক্ত চারটি দেশের বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক হতে চলেছে। স্বশরীরে সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা মাইক পম্পেও ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের বিদেশমন্ত্রীদের।
চিনকে পাল্টা চাপে ফেলতে বড় পদক্ষেপ
কয়েকদিন আগেই লাদাখে ফের চিনা বাহিনীর আগ্রাসনের সাক্ষী হয় বিশ্ব। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে চিনকে পাল্টা চাপে ফেলতে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে ভারত। এর আগে দক্ষিণ চিন সাগরের কাছেই ভারত নৌ মহড়া দেয় ভারত। ভারতের সঙ্গে ছিল মার্কিন নৌবাহিনীর রণতরীও। এদিকে কয়েকদিন আগেই চিনা নৌ বাহিনীর মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার এক রণতরী। মহড়া দেওযার সময় এই ঘটনা ঘটেছিল।
দিল্লি-ওয়াশিংটন জোট
এদিকে প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের একচেটিয়া নীতির মোকাবিলা করতে নয়াদিল্লির সঙ্গে সহযোগিতা আরও বাড়াতে চায় ওয়াশিংটন। এমন একটি সময়ে ওই সমুদ্রপথ নিয়ে বিরোধী অক্ষ জোরদার করার চেষ্টা হচ্ছে, যখন সীমান্ত সংলগ্ন লাদাখ সীমান্ত বরাবর চিনা সেনা ঘাঁটি গেড়ে বসে।
দক্ষিণ চিন সাগরে চাপ
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, লাদাখে শান্তি ফেরাতে দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের উপর চাপ বাড়ানো একটি ভালো কৌশল। আর তাই চার শক্তিশালী দেশের 'কোয়াড'-এর উপর অনেকটাই নির্ভর করে রয়েছে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি। কূটনীতিকদের মতে, কোয়াড-কে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নতুন এক শক্তি হিসেবে তুলে ধরলে, পূর্ব এশিয়ার চিন-বিরোধী ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলিকে পরবর্তী সময়ে একজোট করতে পারবে ভারত।
আমেরিকার চক্ষুশূল চিন
চিন এই মুহূর্তে মার্কিন মুলুক সহ বেশ কয়েকটি দেশের চক্ষুশূল। বেজিং এর আগ্রাসী নীতি ও প্রতিবেশী দেশের ভূখণ্ডে কোপের নীতি কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না আমেরিকা। মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস নিমিৎসের সঙ্গে ভারতের নৌসেনা যৌথ মহড়ায় নামে কয়েকদিন আগেই। আন্দামানের কাছে সেই মহড়া শেষ হতেই, দক্ষিণ চিন সাগরের মুখে অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের মতো দেশের নৌসেনার সঙ্গে মহড়ায় নামে মার্কিন যুদ্ধবিমান বাহক জাহাজ রোনাল্ড রেগান।
চিনের অযৌক্তিক দাবি
আদতে সম্পদ সমৃদ্ধ দক্ষিণ চিন সমুদ্র সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য চিন সব সময়ই নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করেছে৷ 'ঐতিহাসিক অধিকারের' উপর ভিত্তি করে দক্ষিণ চিন সমুদ্রের উপর চিনের কর্তৃত্বকে ২০১৬ সালের সালিশির মাধ্যমে প্রত্যাখান করা হয়েছিল৷ কিন্তু তারপরও এই দক্ষিণ চিন সমুদ্রের উপর থেকে নিজেদের নজর সরায়নি চিন৷