
Attack in Punjab: পঞ্জাবের থানায় জঙ্গি গোষ্ঠীর RPG হামলা! হামলাকারী হিসেবে উঠে আসছে বিভিন্ন নাম
পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী পঞ্জাবের তারণ তারাণের সারহালি থানায় শুক্রবার গভীর রাতে হামলা। রকেট প্রোপেলড গ্রেনেড (RPG) দিয়ে এই হামলা সংগঠিত করা হয়েছে বলে সন্দেহ করছে প্রশাসন। তবে এই হামলায় এখনও পর্যন্ত প্রাণহানির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশের সন্দেহ কিছু অঞ্জাত পরিচয় লোক সীমান্তবর্তী অমৃতসর-ভাতিন্দা হাইওয়েতে অবস্থিত ওই থানায় হামলা চালায়।

রাজ্য পুলিশের তরফে থানায় রকেট লঞ্চার দিয়ে হামলার ব্যাপারে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে হামলার প্রকৃতি এবং বিস্ফোরকের সংগ্রহে থানায় গিয়েছে ফরেনসিক দল। সিনিয়র পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। এই হামলায় থানার জানলা দরজা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে রাজ্য প্রশাসনের তরফে পঞ্জাবে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ থানায় রকেট লঞ্চার দিয়ে হামলার পিছনে রয়েছে খালিস্তানপন্থী সন্ত্রাসবাদীরা। পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স-এর নির্দেশে সন্ত্রাসবাদীরা পঞ্জাবে সক্রিয় স্লিপার সেলের মাধ্যমে এই হামলা করেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, হরবিন্দর সিং ওরফে রিন্দার নামে সন্ত্রাসবাদীর নিজের গ্রামের কাছে এই হামলা চালানো হয়েছে। কয়েকদিন আগে রিন্দার মৃত্যুর খবর সামনে আসে। এরই প্রতিক্রিয়া হিসেবে হামলা বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে প্রশাসন। তবে এই হামলা যে পরিকল্পিত সে ব্যাপারে পরিষ্কার প্রশাসন।
এছাড়াও পঞ্জাব পুলিশ মহারাষ্ট্র পুলিশের এটিএসের সহযোগিতায় এক অভিযুক্ত চরত সিংকে গ্রেফতার করে।

তবে পুলিশের দফতরে হামলা-বিস্ফোরণ এই প্রথম নয়। এই বছরে মে মাসে মোহালির এসএএস নগরের সেক্টর ৭৭-এ পঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদর দফতরে একটি বিস্ফোরণ হয়েছিল। সেই সময় রকেট চালিত গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে সেই হামলাতেও কেউ হতাহত হননি। সেই সময় পঞ্জাব পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছিল, বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল এবং পাকিস্তানের আইএসআই এই হামলার পিছনে ছিল।
উল্লেখ করা যেতে পারে পঞ্জাব পুলিশ বিএসএফ-এর সঙ্গে সমন্বয় করে বেশ কয়েকবার পাকিস্তানের দিক থেকে আসা মাদকবহনকারী ড্রোন বাজেয়াপ্ত করেছে। এর সর্বশেষ ঘটনাটি হল এইমাসের শুরুতে। যখন বিএসএফ এবং তারণ তারাণ পুলিশের যৌথ অপারেশনে আধুনিক প্রযুক্তির একটি ড্রোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। তা থেকে প্রায় ৫ কেজি ওজনের হেরোইন বাজেয়াপ্ত করা হয়। এই সপ্তাহের শুরুতে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল বিভিন্ন হামলার সঙ্গে জড়ির মাস্টারমাইন্ড লক্ষবীর সিং লান্ডাকে গ্রেফতার করে। এই লান্ডাও তারণ তারাণ জেলারই বাসিন্জা। সে ২০১৭ সালে কানাডায় চলে গিয়েছিল।
Cyclone Mandous: ঘূর্ণিঝড় মান্দোসের প্রভাবে উপড়ে গেল গাছ! জলমগ্ন চেন্নাইয়ের বিভিন্ন এলাকা