বিজেপি শাসিত রাজ্যে গোরক্ষকদের তাণ্ডব, কী বলছেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি
গোরক্ষকদের তাণ্ডব নিয়ে সরব বিদায়ী রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। যতটা আমাদের সজাগ থাকার কথা ততটা সজাগ আমরা আছি কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন। নাগরিক সমাজের সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমকেও সতর্ক ও সজাগ হওয়ার বার্তা
গোরক্ষকদের তাণ্ডব নিয়ে এবার মুখ খুললেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।
শনিবার ন্যাশনাল হেরাল্ডের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, 'টিভি চ্যানেল কিংবা খবরের কাগজে যখন আমরা দেখি কাউকে পিটিয়ে মারা হচ্ছে, জনতার উন্মত্ততা যখন অযৌক্তিক, অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে, তখন সেটা নিয়ে আমাদের ভাবতেই হয়।' যতটা সজাগ আমাদের থাকার কথা, আমরা ততটা কি সজাগ আছি, প্রশ্ন করেছেন তিনি। সমাজের মূল নীতি-আদর্শগুলি বাঁচিয়ে রাখতে যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু জাগ্রত কি আমরা আছি, সেই প্রশ্নও করেছেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি।[আরও পড়ুন:গো-রক্ষার নামে পিটিয়ে খুন, জালে এবার বিজেপিরই এক নেতা ]
সঙ্গে সঙ্গে নাগরিক সমাজকেও সজাগ হওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র প্রশাসনকে না দুষে সমাজ রক্ষার দায়িত্ব যেনাগরিক সমাজকে নিজেদের কাঁধে তুলে নিতে হবে, সে বার্তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।[আরও পড়ুন:মানুষ নয়, বিমানে উঠবে ৪ হাজার গরু,কোথায় দেখুন]
বিদায়ী রাষ্ট্রপতি বলেন, 'নাগরিক, বুদ্ধিজীবী এবং সংবাদমাধ্যমের কড়া নজরই অন্ধকারের শক্তির সামনে সবথেকে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কাজের ব্যাখ্যা চাইবে আমাদের কাছে।' একইসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে আরও সজাগ ও সতর্ক হতে বলেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি।
স্বাধীনতার ৭০ বছর উপলক্ষ্য ন্যাশনাল হেরল্ডের বিশেষ সংখ্যার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির পাশেই ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী, এবং সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী।
নরেন্দ্র মোদী কিংবা বিজেপি কারও নাম না করেও এই অনুষ্ঠানে অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে সরব হন কংগ্রেস সভানেত্রী। সরকার দেশ ভাগের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
দেশের নানা প্রান্তে বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে গোরক্ষকদের তাণ্ডব বেড়েই চলেছে। কখনও গরু চোর সন্দেহে, কখনও গোমাংস খাওয়ার গুজবকে হাতিয়ার করে হামলা হচ্ছে নিরীহ মানুষের ওপর। দিন কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী আহমেদাবাদের একটি সভায় গোরক্ষকদের তাণ্ডবের সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু তার বক্তব্য যে গোরক্ষকদের কাজকর্মে কোনও প্রভাব ফেলেনি সারা দেশে একাধিক গণপিটুনির ঘটনা থেকেই পরিষ্কার।