দেশের ১৫ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত! ৫ বছরে কী কী সুবিধা ও ক্ষমতা পাবেন দ্রৌপদী মুর্মু
দেশের ১৫ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত! ৫ বছরে কী কী সুবিধা ও ক্ষমতা পাবেন দ্রৌপদী মুর্মু
অপেক্ষার অবসান, দেশের ১৫ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত (Presidential Election) হয়েছেন ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে রাজনীতিতে আসা দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। ২৫ জুলাই তাঁর শপথ গ্রহণ। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। তারপরে ৫ বছর দিল্লির রাইসিনা হিলসের বাসিন্দাহবেন তিনি। স্বভাবতই সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন ওঠে এই পাঁচ বছরে তিনি কী কী ক্ষমতা (power) পাবেন এবং কী কী সুবিধা (benefit) ভোগ করবেন।
বেতন ও অন্য সুবিধা
বেতন
হিসেবে
পাবেন
মাসে
৫
লক্ষ
টাকা
করে।
২০১৮
সাল
পর্যন্ত
রাষ্ট্রপতি
বেতন
ছিল
দেড়
লক্ষ
টাকা।
২০১৮-তে
তা
বাড়িয়ে
৫
লক্ষ
টাকা
করা
হয়।
এছাড়াও
বিনামূল্যে
চিকিৎসা,
টেলিফোন
বিল,
বিদ্যুৎ।
রাষ্ট্রপতি
তাঁর
ব্যবহারের
জন্য
মার্সিডিট
বেঞ্জ
এস
৬০০
গাড়ি
পেয়ে
থাকেন।
রয়েছে
বিশেষ
রক্ষী।
তাঁরাই
রাষ্ট্রপতির
দেহরক্ষী।
সংখ্যা
৮৬
জন।
অবসরের
পরে
প্রাক্তন
হয়ে
গেলে
তিনি
পাবেন
আড়াই
লক্ষ
টাকা
করে
পেনশন।
ফ্রি-তে
সরকারি
বাংলো,
দুটি
মোবাইল
ফোন
এবং
আজীবন
বিনামূল্যে
চিকিৎসার
সুবিধা।
এছাড়াও
সহকারীকে
সঙ্গে
নিয়ে
ট্রেনে
কিংবা
বিমানে
যাতায়াতের
সুবিধাও
তিনি
পাবেন।
৫ বছরের জন্য ৩৪০ ঘর বিশিষ্ট রাষ্ট্রপতি ভবন
ভারতের রাষ্ট্রপতিরা থাকেন দিল্লির রাইসিনা হিলসের রাষ্ট্রপতি ভবনে। ব্রিটিশ শাসনের সময়ে ভাইসরয়দের জন্য যা তৈরি করা হয়েছিল। ১৯২৯ সাল থেকে ভাইসরয় সেখানে থাকতে শুরু করেন। তবে এই রাষ্ট্রপতি ভবন তৈরি করতে সময় লেগেছিল১৭ বছর। রাষ্ট্রপতি ভবন তৈরির পরিকল্পনায় ছিলেন ওডুয়ার্ড লুটিয়েন্স এবং হার্বাট বেকারের মতো ব্যক্তিরা।
চারতলা
রাষ্ট্রপতি
ভবনে
ঘরের
সংখ্যা
৩৪০
টি।
যার
বিস্তার
৩২০
একর
জায়গা
জুড়ে।
এই
এলাকার
মধ্যে
রয়েছে
মুঘল
গার্ডেন
এবং
কর্মীদের
বাসস্থান।
মুঘল
গার্ডেনের
আয়তন
১৫
একর।
প্রতি
বছরে
একটি
নির্দিষ্ট
সময়ে
তা
সাধারণের
জন্য
খুলে
দেওয়া
হয়।
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা
রাষ্ট্রপতি
প্রধানমন্ত্রীকে
নিয়োগ
করেন।
রাষ্ট্রপতির
অনুমোদন
ছাড়া
কোনও
বিল
আইনে
পরিণত
হয়
না।
অর্থ
বিল
ছাড়া
রাষ্ট্রপতি
যে
কোনও
বিল
পুনর্বিবেচনার
জন্য
ফেরত
পাঠাতে
পারেন।
ভারতের
রাষ্ট্রপতি
স্থলবাহিনী,
নৌবাহিনী
এবং
বিমান
বাহিনীর
সর্বাধিনায়ক।
তিনি
সংবিধানের
৩৫২
অনুচ্ছেদ
অনুসারে
যুদ্ধ
বা
বহিরাগত
আগ্রাসন
কিংবা
সশস্ত্র
বিদ্রোহের
ক্ষেত্রে
দেশে
জরুরি
অবস্থা
ঘোষণা
করতে
পারেন।
কোনও
রাজ্যে
আর্থিক
সংকটের
ক্ষেত্রে
৩৬০
ধারা
অনুযায়ী
আর্থিক
জরুরি
অবস্থা
ঘোষণা
করতে
পারেন।
রাষ্ট্রপতি
দেশের
প্রধান
বিচারপতি,
হাইকোর্টের
বিচারপতি,
নির্বাচন
কমিশনার,
রাষ্ট্রদূত
এবং
রাজ্যপালদের
নিয়োগ
করেন।
কোনও
অন্তর্জাতিক
চুক্তি
হয়
রাষ্ট্রপতির
নামে।
সংবিধানের
৭২
নম্বর
অনুচ্ছেদের
অধীনে
রাষ্ট্রপতি
দোষী
সাব্যস্ত
ব্যক্তির
সাজা
রদ
করতে
পারেন,
স্থগিত
করতে
পারেন
কিংবা
হ্রাস
করতে
পারেন।
এছাড়া
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত
আসামীদের
ক্ষেত্রেও
তিনি
সিদ্ধান্ত
নিতে
পারেন।
মন্ত্রিসভার সঙ্গে পরামর্শেই ক্ষমতা প্রয়োগ
তবে রাষ্ট্রপতি মন্ত্রিসভার পরামর্শেই ক্ষমতা প্রয়োগ করে থাকেন। আবার রাষ্ট্রপতি মন্ত্রিসভাকে পরামর্শ পুনর্বিবেচনা করতে বলতে পারেন।