করোনা মহামারী রোধে প্রতিটি রাজ্যের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ, নীতি আয়োগের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা
করোনা মহামারী রোধে প্রতিটি রাজ্যের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ, নীতি আয়োগের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা
রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের সপ্তম গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক হয়। সেখানে নরেন্দ্র মোদী জানান, প্রতিটি রাজ্য তাদের ক্ষমতা অনুযায়ী করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। ২০১৯ সালে শেষ নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক হয়। তারপর করোনা মহামারীর জেরে শেষ দুইবার অনলাইনে বৈঠকে হয়। নীতি আয়োগের সপ্তম গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে ২৩ জন মুখ্যমন্ত্রী, তিন জন লেফটেন্যান্ট গভর্নর, প্রতীরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং উপস্থিত ছিলেন।
করোনা মহামারীতে রোধে রাজ্যগুলোর ভূমিকা প্রশংসনীয়
নীতি আয়োগের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, করোনা মহামারীর সময় প্রতিটি রাজ্য তাদের ক্ষমতা অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্বের দরবারে করোনা মহামারী রোধ করতে তৃণমূল স্তরের কর্মীদের কাজে লাগায়। সহযোগিতার একটা মেল বন্ধন তৈরি করে। সেই কারণেই ভারত করোনা মহামারী এভাবে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে। ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেই সময় প্রতিটি রাজ্য তৃণমূল স্তরের কর্মীদের ভারতের ৭৫ বছরের স্বাধীনতার ইতিহাসে প্রথমবার সমস্ত রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে বৈঠক হয়। তিন দিন ধরে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়। সেখান থেকেই এই বৈঠকের এজেন্ডা উঠে এসেছে।
জিএসটি ইস্যুতে আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদী নীতি আয়োগের বৈঠকে জানান, পণ্য ও পরিষেবা কর বা জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ বেড়েছে। জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ আরও বাড়ানোর জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে জিএসটি সাহায্য করবে। ভারতকে ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য জিএসটি প্রয়োজন অত্যন্তগুরুত্বপূর্ণ। যদিও জিএসটি প্রয়োগের একাধিক সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন বিরোধীরা। স্বাস্থ্য পরিষেবার কিছু ক্ষেত্রে জিএসটির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। পাশাপাশি প্যাকেটজাত খাদ্যদ্রব্যকেও জিএসটির আওতায় আনা হয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের খরচ বেড়ে যাবে বলেও বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন। তবে এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোনও মন্তব্য করেননি।
জি-২০ ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'সারা বিশ্বকে দেখানোর সময় হয়েছে, ভারত মানেই নয়াদিল্লি নয়। ভারত মানের দেশের প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। তিনি বলেন, জি-২০কে সামনে রেখে আমাদের একটি গণআন্দোলন গড়ে তোলা উচিত। জি-২০ আমাদের দেশের সেরা পণ্যকে বিশ্বের দরবারে চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে। জি-২০ এর জন্য প্রতিটি রাজ্যের একটি নির্দিষ্ট কমিটি থাকা প্রয়োজন। যারা শুধুমাত্র জি-২০ কে লামনে রেখেই রাজ্যকে পরিচালিত করবে।'