পাঠানকোট হামলা : প্রত্যেক জঙ্গির কাছে ৬ কেজি করে বিস্ফোরক ছিল!
পাঠানকোট, ৪ জানুয়ারি : যখন প্রথম পাঠানকোটের হামলা শুরু হয়, তখনই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল জঙ্গিদের একমাত্র উদ্দেশ্য হল দীর্ঘসময়ের এই যুদ্ধে সর্বোচ্চ ক্ষতি করা। গত ৪-৫ দিন ধরে যথেষ্ট পরিমান অস্ত্রসস্ত্র ও বিস্ফোরক নিয়েই পাঠানকোটে হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। প্রত্যেকের কাছে ৬ কেজি করে আরডিএক্স ছিল।
১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৩ টে নাগাদ পাঠানকোটে বায়ুসেনার বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রের খবর অনুযায়ী, ৬০ ঘন্টা কেটে গেলেও এখনও জঙ্গিমুক্ত হয়নি পাঠানকোট। এখনও দফায় দফায় গুলির লড়াই চলছে। সেনা আধিকারিক সূত্রে ওয়ানইন্ডিয়াকে জানানো হয়েছে, জঙ্গিদের কাছে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রসস্ত্র ও বিস্ফোরক রয়েছে। এবং যথেচ্ছভাবে গুলিবর্ষণ করছে। শেষ গুলি খরচ হওয়া পর্যন্ত এই লড়াই তারা চালিয়ে যেতে চাইছে।
পাঠানকোটে বায়ুসেনার বিমানঘাঁটিতে জঙ্গিরা লুকিয়ে থাকলেও বা গুলির লড়াই চালালেও সম্পত্তি সেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলেই সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে। বিমান ঘাঁটিতে ৬ জন জঙ্গি প্রবেশ করেছিল বলে অনুমান। তবে ১ জন দেওয়ালে চড়ার সময় তৎক্ষণাৎই সেনার গুলিতে মারা যায়।
পাঠানকোটে জঙ্গি অপারেশন দীর্ঘ সময় ধরে চলছে কারণ সেনাবাহিনী চায় না জঙ্গিরা বিমান ঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ কোনও অংশে প্রবেশ করুক, যার জেরে বড়সড় ক্ষতি হতে পারে। জঙ্গিদের কাছে প্রচুর পরিমাণে কার্তুজ ও বিস্ফোরক থাকায়, সেনাদের তরফে চেষ্টা চালানো হচ্ছে যাতে গুলির লড়াইতেই আটকে থাকুক জঙ্গিরা।
পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে এই বিষয়টিও নিশ্চিত করা হচ্ছে যাতে জঙ্গিরা বিমান ঘাঁটির প্রযুক্তিগত এলাকার মধ্যে প্রবেশ করতে না পারে। কারণ এই জায়গাতেই নিরাপত্তা বাহিনীর যুদ্ধ বিমান রাখা রয়েছে।
আরও পড়ুন
"আমি আত্মঘাতী অভিযানে এসেছি" : পাঠানকোট হামলার আগে মাকে ফোন জঙ্গির
আইবি-র সতর্কবাণী সত্ত্বেও এড়ানো গেল না পাঞ্জাবে জঙ্গি হামলা
পাঠানকোটে আত্মঘাতী পাক জঙ্গি হানার খুঁটিনাটি জেনে নিন
পাঞ্জাবের পাঠানকোটে সেনা সেজে বিমান ঘাঁটিতে পাক জঙ্গি হামলা