দত্তক সন্তানও কি সহানুভূতির ভিত্তিতে পিতামাতার চাকরি পেতে পারেন? গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
দত্তক সন্তানের সাধারণের মতোই অধিকার রয়েছে। বাবা-মায়ের মৃত্যু হলে সহানুভূতির চাকরিতে তাদেরও অধিকার করেছে। তাদের ক্ষেত্রে চাকরি না দিয়ে বৈষম্য করা যাবে না। এমনটাই পর্যবেক্ষণ কর্নাটক হাইকোর্টের। আদালতের তরফে আরও বলা হ
দত্তক সন্তানের সাধারণের মতোই অধিকার রয়েছে। বাবা-মায়ের মৃত্যু হলে সহানুভূতির চাকরিতে তাদেরও অধিকার করেছে। তাদের ক্ষেত্রে চাকরি না দিয়ে বৈষম্য করা যাবে না। এমনটাই পর্যবেক্ষণ কর্নাটক হাইকোর্টের। আদালতের তরফে আরও বলা হয়েছে, যদি সাধারণের সঙ্গে দত্তকদের পার্থক্য টানা হয়, তাহলে দত্তক নেওয়ার উদ্দেশ্য পূরণ করা যাবে না।
কর্নাটক সরকারের যুক্তি খারিজ
বিষয়টি নিয়ে কর্নাটক সরকারের যুক্তি খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি সুরজ গোবিন্দরাজ এবং বিচারপতি জি বাসভরাজার ডিভিশন বেঞ্চ। এব্যাপারে প্রসিকিউশন বিভাগ এবং সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর দত্তক সন্তান এবং স্বাভাবিক সন্তানদের মধ্যে যে পার্থক্য করেছেন, তা দুই বিচারপতি প্রত্যাখ্যান করেছেন। স্বাভাবিক সন্তানদের জন্য যে আইন রয়েছে, দত্তকদের ক্ষেত্রেও সেই আইন প্রযোজ্য বলে জানিয়েছেন দুই বিচারপতি। উল্লেখ্য যে দত্তক সন্তানকে সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরি প্রত্যাখ্যান করার ব্যাপারে বর্তমান নিয়মের কথা উল্লেখ করেছিল কর্নাটক সরকার।
পার্থক্য করলে উদ্দেশ্য পূরণ হবে না
আদালত রায় দিতে গিয়ে বলেছে, একটি পুত্র, একটি কন্যা আর এক দত্তক পুত্র-কন্যার মধ্যে যদি পার্থক্য করা হয়, তাহলে দত্তক নেওয়ার উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। বিষয়টি সংবিধানের ১৪ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন করবে বলেও জানিয়েছেন দুই বিচারপতি। কৃত্রিম বাধা দূর করতে আইন সংশোধন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ।
কেন এই মামলা
সহকারি পাবলিক প্রসিকেউটরের বানারহাটি অফিসের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী বিনয়ক এম মুত্তাটি ২০১১ সালে দলিলের মাধ্যমে এক পুত্রকে দত্তক নিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে বিনয়ক এম মুত্তাটির মৃত্যু হয়। সেই বছরেই দত্তকপুত্র গিরিশ সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরির জন্য আবেদন করেন। কিন্তু সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, সহানুভূতির নিয়োগের নিয়ম দত্তকপুত্রে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। সেই কারণে তাঁর আবেদন প্রত্যাখ্যান করার কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়।
হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ফয়সালা
এরপরেই গিরিশ বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। ২০২১-এ সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতিও সরকারের পক্ষে রায় দেন অর্থাৎ সহানুভূতিরর নিয়োগের নিয়ম দত্তকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় বলে জানিয়ে দেন। এর পরে গিরিশ ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন। যদিও ২০২১-এর এপ্রিলে দত্তক পুত্র আর সাধারণের মধ্যে পার্থক্যগুলি দূর করতে আইন সংশোধন করা হয়। ডিভিশন বেঞ্চের সামনে গিরিশের আইনজীবী বলেন, ২০২১-এ আইনি সংশোধনের বিষয়টি বিচারপতির নজরে আনা হয়নি। বিপরীতে সরকারি আইনজীবী যুক্তি দেন, যেহেতু আইন সংশোধন করা হয়েছিল ২০২১-এ আর গিরিশের আবেদন ছিল ২০১৮ সালের, সেই কারণে আইনি সংশোধনীর সুবিধা গিরিশকে দেওয়া হয়নি।
রোজগার মেলার সূচনায় প্রধানমন্ত্রী মোদী! ৭১ হাজার নতুন নিয়োগপ্রাপ্তকে অফার লেটার