পলকে ধুলোয় ঢাকল আকাশ, ৩,৭০০ কেজি বিস্ফোরকের বিস্ফোরণে নিশ্চিহ্ন নয়ডার টুইন টাওয়ার
পলকে ধুলোয় ঢাকল আকাশ, ৩,৭০০ কেজি বিস্ফোরকের বিস্ফোরণে নিশ্চিহ্ন নয়ডার টুইন টাওয়ার
ইতিহাস তৈরি করল নয়ডা। ৪০ তলা টুইন টাওয়ার মাটিতে মিশে গেল চোখের পলকে। ইতিহাস তৈরি করল নয়ডা। ৪০ তলা টুইন টাওয়ার মাটিতে মিশে গেল চোখের পলকে। ৩৭,০০০ কেজি বিস্ফোরক দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল টুইন টাওয়ারটি। িনর্ধারিত সময়েই নয়ডার মািট থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল টুইন টাওয়ারটি। সুপ্রিম কোর্টের িনর্দেশেই এই কর্মকাণ্ড। বৈধ ভাবে টাওয়ার দুটি তৈরি করা হয়নি এই অভিযোগে সেই টাওয়ার দুটি গুঁড়িয়ে দওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
িনশ্চিহ্ন নয়ডার টুইন টাওয়ার
যাকে নিয়ে এতদিন ধরে শোরগোল সেই টুইন টাওয়ার আজ মাটিতে মিশে গেল। ৩৭০০ কেজি বিস্ফোরক দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল টুইন টাওয়ারটি। সেই ঐতিহাসিক সময়ের সময়ের সাক্ষী থাকতে সেইখানে হাজির হয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ। তৈরি করা হয়েছিল ভিভিআইপি গ্যালারিও। রবিবারের ছুটির দিনটিতে অনেকেই কৌতুহলে হাজির হয়েছিলেন এই টুইন টাওয়ার গুঁড়িয়ে যাওয়ার ঘটনা দেখতে। গত তিনদিন ধরে চলছিল তার প্রস্তুতি। শেষ পর্যন্ত রবিবার দুপুর ২টো ৪৫ মিনিটে গুঁড়িয়ে গেল সেই গগনচুম্বি অট্টালিকা।
কুতুম মিনারের চেয়ে উঁচু
কুতুব মিনারের চেয়ে উঁচু ছিল টুইন টাওয়ার। ৪০টি তলায় মোট ৯০০ ফ্ল্যাট ছিল। এটি তৈরি করতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৭০ কোটি টাকা। কিন্তু বৈধ ভাবে সেটা তৈরি হয়নি। তার জেরেই সুপ্রিম কোর্ট সেিট ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। মোট ৭.৫ লক্ষ বর্গফুট জায়গা জুড়ে তৈরি হয়েছিল নয়ডার টুইন টাওয়ার। যত টাকা খরচ করে এই টুইন টাওয়ারটি তৈরি করা হয়েছিল ঠিক সেরকমই মোটা টাকা খরচ হয়েছে এই টুইন টাওয়ারটি ভাঙতে। অ্যাপেক্স এবং কেয়ান এই দুটি নাম ছিল টুইন টাওয়ারটির।
ধ্বংস করতে কত টাকা
টুইন টওয়ার দুটি ধ্বংস করতে বরাত দেওয়া হয়েছিল সুপার টেক নামে একটি সংস্থাকে। তার জন্য সংস্থাটিকে দেওয়া হয়েছে ২০ কোিট টাকা। তার মধ্যে ৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৫ কোটি টাকা পাওয় যাবে এই টুইন টাওয়ার ধ্বংসাবশেষ বিক্রি করে। ৫৫,০০০ টন আবর্জনা পাওয়া গিয়েছে এই ধ্বংসস্তুপ থেকে। স্টিল থাকবে ৪ হাজার টন। তার মধ্যে লোহা,কাচ উদ্ধার হয়েছে। থাকবে বিপুল পরিমান ধুলো।
বাসিন্দাদের ক্ষতিপূরণ
এতদিন ধর যেখানে বাস করেছেন সেই জায়গাটি িনমেষে মাটিেত মিশে গেল। চোখের সামনে দেখলেন সেখানকার বাসিন্দারা। যদিও সেখানকার বাসিন্দদের মোটা টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। টুইন টাওয়ার ধ্বংসের সময় আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে িনয়ে যাওয়া হয়েছিল। ৩ হাজার যানবাহন, বিড়াল এবং কুকুর সহ ১৫০-২০০ পোষ্য প্রাণীকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। টুইন টাওয়ারের ৫০০ মিটারের নো-এন্ট্রি জোন করা হয়েছিল। প্রস্তুত রাখা হয়েছিল অ্যাম্বুল্যান্স, দমকল বাহিনী৷