হানিপ্রীতের ল্যাপটপ রহস্য, কোথায় গেল হিংসা ছড়ানোর ব্লুপ্রিন্ট, কারচুপি আইফোনেও
হানিপ্রীতের ল্যাপটপ রহস্য এখনও কাটল না, এখনও পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি তাঁর সেই ল্যাপটপ যাতে পাঁচকুলায় হিংসা ছড়ানোর ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করা হয়েছিল।
হানিপ্রীতের ল্যাপটপ রহস্য এখনও কাটল না। এখনও পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি তাঁর সেই ল্যাপটপ যাতে পাঁচকুলায় হিংসা ছড়ানোর ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করা হয়েছিল। ২৬ অগাস্ট পালানোর আগে সেই ল্যাপটপ বিপাসনার হাতে দিয়ে যান হানিপ্রীত। কিন্তু সেই ল্যাপটপের খোঁজ এখনও পায়নি পুলিশ। এদিকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হানিপ্রীতের আইফোনেও বেশ কিছু তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
ডেরা সাচা সৌদা হেডকোয়ার্টারে তল্লাশি চালানোর সময়েই একটি বস্তার ভেতর থেকে দুটি ল্যাপটপ উদ্ধার করে হরিয়ানা পুলিশ। বর্তমানে সেই দুটি ল্যাপটপ পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে ৬৪টি হার্ড ডিস্কও বাজেয়াপ্ত করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে এই ল্যাপটপ ও হার্ড ডিস্কগুলির বেশিরভাগ তথ্যই মুছে ফেলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আপাতত আইটি বিশেষজ্ঞরা সেই তথ্য পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
তবে যেটুকু তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে জানা গিয়েছে, রাম রহিম বেশ কয়েকটি রিয়েল এস্টেট সংস্থায় টাকা খাটিয়েছিল। এই সংস্থাগুলি বেশিরভাগই হরিয়ানা ও দিল্লির। এগুলির মধ্যে একটি সংস্থা হল জিরাকপুরের। এই সংস্থা ইতিমধ্যেই পুলিশের আতশকাচে। এই জিরাকপুরের সংস্থাই গত ২৫শে অগাস্ট ডেরা সমর্থকদের প্রচুর গাড়ির যোগান দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
সেই দুটি ল্যাপটপের একটি হানিপ্রীতের হতে পারে বলে পুলিশের অনুমান। তবে এবিষয়ে নিশ্চিত নয় পুলিশও। এদিক গত শুক্রবারই পুলিশের হাতে আইফোন তুলে দিয়েছেন হানিপ্রীত। কিন্তু এই ফোন হাতে পেয়েও খুব বেশি কিছু লাভ হচ্ছে না পুলিশের। ল্যাপটপের মতই এই ফোন থেকেও বহু তথ্য মুছে ফেলার প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। গত ২৫ অগাস্ট পাঁচকুলা সহ গোটা রাজ্যে আগুন জ্বালাতে কীভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছিল এবং পরিকল্পনামাফিক কীভাবে লোক মোতায়েন করা হয়েছিল, সেই তথ্য এখনও পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে।