প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির বাড়ির কাছেই জেহাদি সভা! এনআইএ-র জালে খাগড়াগড় কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত কওসর
বেঙ্গালুরুতে এনআইএ-র জালে খাগড়াগড় কাণ্ডের মূলচক্রী কওসর ওরফে বোমারু মিজান। খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পরেই এলাকা ছাড়ে জেএমবি জঙ্গি কওসর।
বেঙ্গালুরুতে এনআইএ-র জালে খাগড়াগড় কাণ্ডের মূলচক্রী কওসর ওরফে বোমারু মিজান। খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পরেই এলাকা ছাড়ে জেএমবি জঙ্গি কওসর। সম্প্রতি দলের অন্য সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য এনআইএ-র ফাঁদে পড়ে যায় সে।
বিস্ফোরণের পর থেকে কখনও ঝাড়খণ্ড, কখনও বিহারে কাটিয়েছে বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ। পরিচয় লুকিয়ে বহুদিন সে কাটিয়েছে দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন জায়গায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এক সহযোগীর পিছু নিয়েছিল এনআইএ। তাকে ধরতেই কওসরকে হাতের নাগালে পেয়ে যান গোয়েন্দারা।
যার সূত্রে ধরে কওসরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার নাম মুস্তাফিজুর রহমান ওরফে তুহিন। তার বাড়ি বীরভূমের কীর্ণাহারে। ধৃত তুহিনের ভাই চাঞ্চল্যকর দাবিও করেছেন। তার দাবি, ৫ বছর আগে কীর্ণাহারে জেহাদি সভা হয়েছিল। সেখানেই উৎসাহিত হয়ে জঙ্গি সংগঠনে নাম লেখায় সবাই।
খাগড়াগড় কাণ্ডে কওসরকে ধরতে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল এনআইএ-র তরফে। তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
একটা সময়ে বীরভূমের বাড়ি থেকেই সংগঠন চালাত কওসর। তবে বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন মাদ্রাসায় যাতায়াত ছিল তার।
খাগড়াগড় বিস্ফোরণে কওসরে নাম পাওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এখানকার নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। জেএমবি জঙ্গিকে ধরতে সেখানেও চলে তল্লাশি অভিযান। ফলে বাংলাদেশে বেশিদিন আশ্রয় নিতে পারেনি সে। এরপর কখনও বসিরহাট কিংবা রাজ্যের এখানে সেখানে আশ্রয় নিয়েছে কওসর। কিন্তু প্রত্যেকবারই পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল সে। আশ্রয় নিয়েছিল দক্ষিণ ভারতে। প্রথমের দিকে ছিল কেরলে। কিন্তু সেখানেও নিরাপত্তা সংস্থাগুলির আনাগোনা টের পাচ্ছিল কওসর। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বেঙ্গালুরুতে যায় সে। এরই মধ্যে কেরলে ধরা পড়ে যায় কওসরে এক সহযোগী। ফলে পরবর্তী সময়ে কওসরকে ধরতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি এনআইএকে।
এনআইএ-র তরফে কওসর ধরতে বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশকে জানানো হয়েছিল। শেষমেষ বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করা হয় কওসরকে। আপাতত এনআইএ-র হেফাজতেই থাকবে কওসর। গয়া ও খাগড়াগড় কাণ্ডে আরও কেউ জড়িত কিনা সেই বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন গোয়েন্দারা।