সাত দিনের আইসোলেশন পিরিয়ড কীভাবে শেষ হবে? নয়া গাইডলাইনে বিস্তারিত জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক
দেশে ক্রমশ বাড়ছে করোনা পরিস্থিতি। দৈনিক সংক্রমণ প্রায় দুলাখ পেরিয়ে গিয়েছে। যদিও সংক্রমণের নিরিখে প্রত্যেকদিনই তৈরি হচ্ছে নয়া রেকর্ড। পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে ব্যাপক বাড়ছে এই সংক্রমণের হার। বৃহস্পতিবারই সমস্ত রাজ্য
দেশে ক্রমশ বাড়ছে করোনা পরিস্থিতি। দৈনিক সংক্রমণ প্রায় দুলাখ পেরিয়ে গিয়েছে। যদিও সংক্রমণের নিরিখে প্রত্যেকদিনই তৈরি হচ্ছে নয়া রেকর্ড। পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে ব্যাপক বাড়ছে এই সংক্রমণের হার। বৃহস্পতিবারই সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে করোনা সংক্রান্ত উচ্চপর্যায়ের জরুরি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
রাজ্যগুলিকে করোনা ঠেকাতে একাধিক পরামর্শ দেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে। আর এর মধ্যেই হোম আইসোলেশনে থাকা করোনা রোগীদের জন্যে নয়া গাইডলাইন প্রকাশ করল স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
গাইডলাইন প্রকাশ করা হল স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে
সংক্রমণ যখন দেশজুড়ে হু হু করে বাড়ছে ঠিক সেই সময়ে এই গাইডলাইন প্রকাশ করা হল স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে। মন্ত্রক বলছে, করোনা পজিটিভ পরীক্ষা আসার পরেই সাতদিনের হোম আইসোলেশন শেষ হবে। যদি তিনদিন পর আর জ্বর না আসে তাহলে নেগেটিভ হিসাবেই ধরে নিতে হবে। এমনটাই জানাচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। যদিও এখন অনেক ক্ষেত্রেই এই হোম আইসোলেশনে থাকার নিয়ম নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
মন্ত্রকের তরফে নয়া গাইডলাইনে কি বলা হচ্ছে?
নয়া এই করোনা বিধিতে উপসর্গহীন রোগীদের বিষয়েই গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। হোম আইসোলেশন শেষ হওয়ার পর উপসর্গহীন রোগীদের করোনা পরীক্ষা করার আর দরকার নেই। হালকা উপসর্গ বা কোনও উপসর্গ নেই তাঁরা হোম আইসোলেশনে থাকতে পারেন। এমনটাই নয়া গাইডলাইনে বলা হয়েছে।
তবে যারা ৬০ বছর কিংবা ৬০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে তাঁদের হোম আইসোলেশনে থাকার ক্ষেত্রে অবশ্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কোমর্বিডিটি রয়েছে এমন মানুষদের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশিকা কার্যকর।
মন্ত্রক আরও কি বলছে?
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে যে, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম দিনে জ্বর না এলে সাত দিনেই আইসোলেশন পিরিয়ড শেষ হয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী কি জানালেন বৈঠকে?
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মোদী। আর সেই বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টটি আগের ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় দ্রুত বিস্তার করছে। খুব তাড়াতাড়ি সাধারণ জনগণকে সংক্রামিত করছে। তবে খেয়াল রাখতে হবে। সর্বদা আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কিন্তু অযথা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই।' তিনি আরও বলেন, এই উৎসবের মরশুমে জনগণ ও প্রশাসনের সতর্কতায় যেন কোনরকম ফাঁক না থাকে সেদিকেও দেখা হবে। কনটেনমেন্ট জ়োন বা মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের ওপর এখন নজর দিতে হবে।