নাগাল্যান্ডে গ্রামবাসীদের উপর এলোপাথাড়ি গুলি! ৩০ সেনার নামে চার্জশিট পুলিশের
জঙ্গি সন্দেহে সাধারণ মানুষের উপর এলোপাথাড়ি গুলি সেনাবাহিনীর! গত বছর নাগাল্যান্ডের ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। চরম অস্বস্তিতে পড়ে যায় বিজেপি সরকার। ঘটনার পরেই বিজেপির অন্দরেও এই ঘটনার নিন্দা জানানো হয়। একই সঙ্গে আফস্প
জঙ্গি সন্দেহে সাধারণ মানুষের উপর এলোপাথাড়ি গুলি সেনাবাহিনীর! গত বছর নাগাল্যান্ডের ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। চরম অস্বস্তিতে পড়ে যায় বিজেপি সরকার। ঘটনার পরেই বিজেপির অন্দরেও এই ঘটনার নিন্দা জানানো হয়। একই সঙ্গে আফস্পা তুলে নেওয়ারও দাবি ওঠে। আর সেই দাবিতে উত্তাল হয় নাগাল্যান্ড সহ উত্তর-পূর্বের একাধিক রাজ্য।
শুধু তাই নয়, গ্রামবাসীদের উপর গুলি চালানোর ঘটনায় দোষীদের দাবিতেও বিক্ষোভ দেখানো হয়।
আর সেই ঘটনায় চার্জশিট জমা দিল সে রাজ্যের পুলিশ। নাগাল্যান্ড পুলিশের তরফে দেওয়া চার্জশিটে ৩০ জন সেনার নাম রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনার পরেই নাগাল্যান্ড পুলিশের তরফে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করা হয়। আর সেই দল গোটা ঘটনার তদন্ত করে। এমনকি সেনাবাহিনীর তরফেও এহেন ঘটনার তদন্ত করছে।
তবে নাগাল্যান্ড পুলিশের দাবি, সেনা জওয়ানরা সঠিক ভাবে নিয়ম মানে নি। এক্ষেত্রে ২১ জন প্যারা স্পেশাল ফোর্সের বিরুদ্ধে চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, চার্জশিটে ৩০ জন সেনার মধ্যে একজন সেনা আধিকারিক আছে বলেও জানা যাচ্ছে।
খুব শিঘ্রই অভিযুক্ত সেনা আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে নাগাল্যান্ড পুলিশ। আর সেই ব্যবস্থা নেওয়ার আগে সে রাজ্যের সরকার অমিত শাহের মন্ত্রকে চিঠি পাঠিয়েছে। কার্যত জওয়ান এবং আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমতি চেয়েই মন্ত্রকে এই চিঠি পুলিশের তরফে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
বলে রাখা প্রয়োজন, এই মুহূর্তে নাগাল্যান্ডে সেনাবাহিনীকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আর সেটাই আফস্পা। আর তা তোলার দাবিতেই ঘটনার পর থেকেই আন্দোলন চলছে। যদিও এই বিষয়ে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে শাহের মন্ত্রক।
ফলে সেখানে সেনার বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আগে সরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমতির প্রয়োজন হয়। আর সেই অনুমতি চাইতেই নাগা পুলিশের তরফে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে খবর। বলে রাখা প্রয়োজন, এই ঘটনার পরেই সংসদে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ভুল বোঝাবুঝির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছিল বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।
জানিয়েছিলেন, সেনার কাছে জঙ্গি কার্যকলাপের খবর ছিল। রাতের অন্ধকারে চিনতে সমস্যা হয়। শুধু তাই নয়, দাঁড়াতে বলার পরে পালানোর চেষ্টা করে। আর তাতেই সমস্যার সূত্রপাত তৈরি হয় বলে জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
একই সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের কথা জানিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, রাতের অন্ধকারে খনির কাজ সেরে একটি পিকআপ ভ্যানে বাড়ি ফিরছিলেন শ্রমিকরা। সেই সময়ে সেনাবাহিনী তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। তাতে ছয় জনের মৃত্যু হয়। আর এরপরেই একেবারে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়। পালটা সেনা ক্যাম্পে হামলা হয়। আর ঘটনায় মোট ১৪ জনের ম্রিতু হয়েছিল। সেই ঘটনায় কয়েকমাসের মাথাতে চার্জশিট পেশ করল নাগাল্যান্ড পুলিশ।