ধারাল অস্ত্রে খুনের চেষ্টা, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর খারিজ হল ফয়জলের সাংসদ পদ
খুনের চেষ্টার অভিযোগ ওঠার পরই বহিষ্কার করা হল লাক্ষাদ্বীপ সাংসদ মহম্মদ ফয়জলকে। ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাক্ষাদ্বীপের এই সাংসদকে সম্প্রতি খুনের চেষ্টার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।
খুনের চেষ্টার অভিযোগ ওঠার পরই বহিষ্কার করা হল লাক্ষাদ্বীপ সাংসদ মহম্মদ ফয়জলকে। ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাক্ষাদ্বীপের এই সাংসদকে সম্প্রতি খুনের চেষ্টার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।
কাভারাত্তি আদালতের তরফে গত ১১ জানুয়ারি দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল ওই সাংসদকে। ওই দিন থেকেই বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁকে। নোটিফিকেশ অনুযায়ী, ১১ জানুয়ারির পর থেকে আর সাংসদ পদ নেই তাঁর।
ভারতীয় সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুসারে সাংসদ পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে মহম্মদ ফয়জলকে। নোটিফিকেশনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, রিপ্রেজেন্টেশন অব পিপলস অ্যাক্টের সেকশন ৮ অনুযায়ী সাংসদের সদস্যপদ খারিজ করা হল। শুধুমাত্র মহম্মদ ফয়জল নন, গত বুধবার লাক্ষাদ্বীপের ওই আদালত ফয়জল সহ মোট ৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
সাংসদকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাভারাত্তি আদালতের তরফে প্রত্যেক অভিযুক্তকে ১ লক্ষ টাকা করে জরিমানা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ২০০৯ সালের ঘটনায় সদ্য রায় দিয়েছে লাক্ষাদ্বীপের নিম্ন আদালত।
কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পিএম সঈদের জামাই মহম্মদ সালিহকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় অভিযোগ ওঠে ফয়জল সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় এই ঘটনা ঘটেছিল। অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই মহম্মদ সালিহের আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে। মোট ৩৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল ওই ব্যক্তিকে।
ইতিমধ্যেই নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কেরল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মহম্মদ ফয়জল। তাঁকে যে যে ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল সেগুলি হল ১৪৩, ১৪৭, ১৪৮, ৪৪৮, ৪২৭, ৩২৪, ৩৪২, ৩০৭, ৫০৬ ও ১৪৯। কেরল হাইকোর্টের তিনি আবেদনে জানিয়েছেন, ১০ বছরের যে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তা আইন, তথ্য ও প্রমাণের পরিপন্থী।
তিনি আরও দাবি করেছেন, যে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার কথা বলা হয়েছে, তা উদ্ধার করা যায়নি। শুধু তাই নয়, চিকিৎসক বলেছেন, আহত ব্যক্তির শরীরে যে আঘাতের চিহ্ন ছিল, তা প্রাণঘাতী নয়। আর কোনও ধারাল অস্ত্রে আঘাত করার কথা বলা হয়নি বলেও দাবি করেছেন ফয়জল। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন, শুধুমাত্র সাক্ষী ধারাল অস্ত্রে আঘাত করার কথা বলেছিলেন। আপাতত হাইকোর্টের রায়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তিনি। তবে আপাতত তাঁর সাংসদ পদ আর রইল না।
যা কার্যত নজিরবিহীন বলেই মনে করা হচ্ছে।