গবাদি পশু অবিন্যস্ত ভাবে রাস্তায় রেখে দেওয়ার জের, ছয়মাসের কারাদণ্ড এক ব্যক্তির
Array
গুজরাত আদালত এক ব্যক্তির ছয় মাসের জেলের নির্দেশ দিয়েছে তাঁর গরু রাস্তায় অবিন্যস্তভাবে রেখে দেওয়ার জন্য। একটা দুটো গরু নয়। প্রচুর সংখ্যক গরু দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় পড়েছিল। তা পথ চলতি মানুষের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। আর তাই কোর্ট এই রায় দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তির নাম জয়রাম দেশাই। তাকেই কোর্ট দোষী সাব্যস্ত করেছে তাঁর গরুকে দিনের পর দিন অবিন্যস্ত ভাবে রাস্তায় ছেড়ে রাখার জন্য। আদালত মনে করেছে এই কাণ্ডে সাধারণ মানুষের জন জীবন বিপন্ন হচ্ছে।
অভিযোগ কী?
অতিরিক্ত সেশন কোর্টের বিচারপতি সারঙ্গ ব্যাস তাঁর বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ নিয়েও কথা বলেছেন। জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তিকে এই বিষয়ে আগে বলেছিল আহমেদাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। এই কর্পোরেশনে আবার রয়েছে গবাদি পশুর উপদ্রব নিয়ন্ত্রন বিভাগ। তাঁরা এই বিষয়ে সাবধান করেছিল জয়রাম দেশাইকে। কিন্তু কে কার কথা শোনে? গবাদি পশুর উপদ্রব নিয়ন্ত্রন বিভাগের দলকে তাঁরা দুই বছর ধরে রীতিমত তিনি হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন।
অবিন্যস্ত ভাবে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো এই গরু গুলিকে ওই দল আটক করতে গিয়েছিল। তা করতে গইয়েই তাঁরা সম্মুখীন হন দেশাই মশাইয়ের হুমকির। প্রকাশ দেশাই শাহপুরের বাসিন্দা। তাঁকে ২০১৯ সালে সিএনসিডি'র দল পাঁচটি গরুকে শান্তিপুর ছাপরার রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখে। দেশাই এরপর তাঁদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন। এতেই থেমে না থেকে তাঁদেরকে বলেন যে ওই দলকে তিনি ধরিয়ে দেবেন দুর্নীতি দমন শাখার হাতে।
কোন ধারায় দোষী?
ওই ব্যক্তিকে ৩০৮, ১৮৬, ৫০৬ (২) আইপিসি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। গুজরাত পুলিশের ধারায় এবং পশুদের উপর অতাচার রোধের আইনি ধারায় এই মামলা দায়ের করা হয়।
দেশাই সম্প্রদায়ের দুই জন অন্যতম প্রধানকে এই মামলার সাক্ষী হিসাবে এনেছিল। তাঁরাও প্রকাশকে সমর্থন করেননি বলে কোর্ট জানিয়েছে।
সিএনসিডি'র দল ব্যাপকভাবে ক্ষুব্ধ
তবে সিএনসিডি'র দল ব্যাপকভাবে ক্ষুব্ধ ওই ব্যক্তির উপর। কোর্ট বলেছে যে যেহেতু কেউ এখানে আহত হয়নি তাই এক্ষেত্রে ৩০৮ ধারা প্রয়োগ করা যাবে না। কিন্তু কোর্ট এই বিষয়ে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে যে তাঁর গরুকে এক জায়গায় না রেখে দিয়ে অবিন্যস্ত ভাবে রেখে দেওয়ার জন্য। এতে মানুষের জীবন বিপন্ন হবার সম্ভাবনা ছিল।
আগে কী বলেছিল আদালত?
গুজরাত হাইকোর্ট ১৮ অক্টোবর বলেছে যে, রাজ্য সরকার যে গবাদি পশু যেগুলি বিপথগামি সেগুলিকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছিল কিন্তু তা ছিল খাতায় কলমে। কোনও পদক্ষেপ আজ পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। এর জন্য মামলা দায়ের আগেও হয়েছে কিন্তু কোথায় কী? যার ফল এই ঘটনা। তাই আদালত বলেছে যে এবার যে আদেশ দেওয়া হয়েছে তা যেন মেনে চলা হয়। এই নিয়ে যখন পিআইএল হয়েছে তখন আরই করতে হবে বিষয়টি। প্রসঙ্গত এই গবাদি পশু জনিত সমস্যা রয়েছে উত্তরপ্রদেশ্ম রাজস্থানেও।