করুণানিধির মৃত্যুতে সমাধি নিয়ে রাজনীতি, সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন মমতা
ডিএমকে প্রধান এম করণানিধির অবস্থার অবনতি হয়েছে শুনেই নবান্ন থেকে সটান চেন্নাই রওনা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাওয়ার আগে প্রয়াত হন ডিএমকে প্রধান করুণানিধি।
তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম করুণানিধির শেষকৃত্য অনুষ্ঠান ঘিরেও রাজনীতি পিছু ছাড়ল না। মেরিনা বিচে গুরু আন্নাদুরাইয়ের পাশে সমাধিস্থ করা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল শাসক এআইএডিএমকে। শেষমেশ হাইকোর্টের রায়ে ডিএমকে অনুমোদন পেল কলাইনারের সমাধির। করুণানিধির মতো বড় নেতার সমাধি নিয়ে রাজনীতি হওয়ায় তামিলনাড়ুর সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ডিএমকে সুপ্রিমো প্রবীণ নেতা করুণানিধির মৃত্যুসংবাদ পেয়েই চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইট করে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন প্রবীণ নেতাকে। তিনি টুইটারে লেখেন- দেশ এক মহান রাজনেতাকে হারাল। চেন্নাইয়ে পৌঁছনোর পর করুণানিধির সমাধি নিয়ে রাজনীতি হওয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বড় নেতার মৃত্যুতে সমাধিস্থল নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।
করুণানিধির সমাধি নিয়ে ডিএমকে-র পাশে দাঁড়িয়েছে সব দলই। এআইএডিএমকে আপত্তি জানিয়ে কার্যত এক ঘরে তারা। একা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নন, রাহুল গান্ধী, সীতারাম ইয়েচুরি, রজনীকান্ত-সহ বহু রাজনীতিকই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান, করুণানিধির মৃত্যুর পর সমাধি নিয়ে রাজনীতির ভেদাভেদ না রাখতে।
I was unhappy yesterday, as the govt did not allow the Marina beach burial. I had called the CM but he was unavailable. I also personally called the PM in this regard: WB Mamata Banerjee #Karunanidhi pic.twitter.com/X44z9kmVbc
— ANI (@ANI) August 8, 2018
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তামিলনাড়ু সরকারের এক মহান নেতার সমাধি নিয়েও রাজনীতি হওয়ায় আমি খুব দুঃখ পেয়েছি। সরকার মেরিনাবিচের সমাধির ব্যাপারে অনুমোদন না দেওয়ায় আমি অবাক। আমি এই বিষয়টি জেনেই মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেছিলাম। কিন্তু ফোন পাওয়া যায়নি। আমি এ ব্যাপারে ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রীকেও জানিয়েছি।
এই ইস্যুতে রাত বাড়তেই উত্তেজনা ছড়ায় চেন্নাইয়ে। বিক্ষোভ শুরু করেন করুণানিধির অনুগামীরা। শেষপর্যন্ত সমাধি-বিতর্ক গড়ায় হাইকোর্টে। হাইকোর্ট অনুমোদন দেয় করুণানিধির সমাধি মেরিনাবিচেই করা হবে। গুরু আন্নাদুরাইয়ের পাশেই সমাধিস্থ হবেন তিনি। তাঁর ভক্তরা এই দাবিই করে আসছিলেন। তাঁদের দাবি মেটায় খুশি করুণানিধির অনুগামীরা।