মধ্যপ্রদেশে বিজেপিতে 'মহারাজ, নারাজ, শিবরাজ'তত্ত্বই কি সত্যি! ভোটের আগে কৈলাসের বক্তব্য নিয়ে জল্পনা
শত্রুঘ্ন সিনহা বলেছিলেন, 'মধ্যপ্রদেশ বিজেপিতে তিন ধরনের মানুষ এখন রয়েছেন, তা হল, মহারাজ , নারাজ ও শিবরাজ..' পন্থীরা। উল্লেখ্য, সিন্ধিয়া রাজপুত্র জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া গোটা মধ্যপ্রদেশ রাজনীতিতে মাহারাজ নামে খ্যাত। তাঁর কংগ্রেস শিবিরের একটা বড় অংশ বিজেপিতে যোগ দেওয়ায়, বিজেপির একাংশ 'নারাজ'। অন্যদিকে, রয়েছে শিবরাজ সিং চৌহানের শিবির। সবমিলিয়ে মধ্যপ্রদেশে আসন্ন উপনির্বাচন ঘিরে রাজনীতির আঙিনা পোক্ত হচ্ছে। তারইমধ্যে উঠে এল বিজেপির কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বার্তা।
কৈলাসের খোঁচা
'আমার মতো কর্মীরা অবাক, এমনকি আপনারাও অবাক হবেন যে, যে কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে আমরা লড়েছি, তাঁদের সঙ্গে কী করে কাজ করব, তা ভেবে..', এই বক্তব্য মধ্যপ্রদেশ বিজেপির দুঁদে নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র। যাঁর সামনে আপাতত মদ্যপ্রদেশের উপনির্বাচনের ভোট বৈতরণী পার করার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে তিনি খুব একটা স্বস্তিতে নেই, কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া পার্টি কর্মীদের নিয়ে। তা স্পষ্ট করেছেন নিজের মন্তব্যে।
'রাজনীতি এসব নিয়েই..'
বিজয়বর্গীয় কংগ্রেস থেকে আসা কর্মীদের বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন,'.. এসব নিয়েই রাজনীতি। কখনও কখনও তেঁতো ওষুধ খেতে হয়, আর সমাজের কাজ করে যেতে হয়।' বিজয়বর্গীয় বার্তায় স্বভাবতই স্পষ্ট জ্য়োতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার প্রবেশ মধ্যপ্রদেশ বিজেপির অনেকাংশেই খুব একটা অভিপ্রেত ছিল না। আর তাকে মাথা করেই পার্টিতে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে।
'শিবরাজ মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না.. যদি না..'
কার্যত এক ঢিলে দুই পাখি মারার ঘরানায় , কৈলাস বিজয়ববর্গীয় মধ্যপ্রদেশ বিজেপির সভায় বলেন, ' ভুলে যাবেন না, ওঁরা (কংগ্রেসের জ্যোতিরাদিত্য শিবির) কংগ্রেস সরকার ছেড়ে চলে এসেছেন, যাতে শিবরাজ সিং সরকার গঠন করতে পারেন। ওঁদের ছাড়া কি শিবরাজ সিং চৌহান সরকার গঠন করতে পারতেন মধ্যপ্রদেশে?' এরপরেই কৈলাস বিজয়বর্গীয় পার্টি কর্মীদের আসন্ন উপনির্বাচনে শিবরাজের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে লড়াই করার বার্তা দেন।
ভোট অঙ্ক ও মধ্যপ্রদেশ
২৩০ সদস্যের মধ্যপ্রদেশ বিধাসভায় বিজেপির দখলে ১০৭ জন বিধায়ক। কংগ্রেস ছেড়ে কিছু বিধায়ক বিজপিতে যোগ দেওয়ায় , কংগ্রেসে আপাতত ৯২ জন বিধায়ক। কংগ্রেস ছেড়ে যে ২২ জন বিধায়ক বিজেপিতে গিয়েছেন, সেই বিধায়কদের জন্যই এবার উপনির্বাচনের দামামা বেজেছে মধ্যপ্রদেশে।