দেশে করোনা থেকে বেশি মানুষ মরবে খিদের জ্বালায়! আশঙ্কাবাণী ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তির
করোনার প্রকোপে বিশ্বজুড়ে এখন হাহাকার। এই অবস্থায় বিশ্বজুড়ে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে হয়তো খুব শিগগিরই প্রবল খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। আর এবার লকডাউন নিয়ে একই রকমের উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ইনফসিস-এর প্রতিষ্ঠাতা এন আর নারায়ণ।
কী বলেন নারায়ণ মূর্তি?
এই বিষয়ে এদিন নারায়ণ মূর্তি বলেন, 'আমাদের যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি বোঝা প্রয়োজন, তা হল ভারত এই পরিস্থিতিতে খুব বেশি দিন চলতে পারে না। কারণ এক পর্যায়ে, ক্ষুধার কারণে মারা যাওয়াগুলি করোনা ভাইরাসজনিত মৃত্যুর চেয়ে অনেক বেশি হবে।'
বিশ্বের প্রায় ১৩ কোটি মানুষ খাবারের অভাবে ভুগছেন
করোনা মহামারী শুরুর অনেক আগে থেকেই নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা মানবসৃষ্ট সংকটে বিশ্বের প্রায় ১৩ কোটি মানুষ খাবারের অভাবে ভুগছেন। এরমধ্যে অন্যতম দুর্গত এলাকা হচ্ছে আফ্রিকার ইথিওপিয়া, কেনিয়া ও সোমালিয়া। এদিকে ভারতের পরিস্থিতিও খুব গুরুতর। মূলত পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিন রাজ্যে আটকে পড়ার জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ভারতে ক্রমেই বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
এদিকে ভারতেও ক্রমেই বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে হাজার জনেরও বেশি মানুষ। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ৩০ হাজার। এদিকে নারায়ণ মূর্তির বক্তব্য, ভারতে প্রতি বছর ৯০ লক্ষ মানুষ মারা যায় বিভিন্ন কারণে। এদিকে তিনি আরও বলেন, 'দেশে কয়েক কোটি মানুষ দিন মজুরি করে জীবনযাপন করে। লকডাউন এভাবে চলতে থাকলে তারা না খেতে পেয়ে মরে যাবে। আর সেই সংখ্যাটা তখন করোনায় মৃত্যুর থেকে বেশি হবে।'
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র
দেশের মধ্যে করোনার জেরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র। ইতিমধ্যে সেই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৮ হাজারের গণ্ডি। এর মধ্যে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত মুম্বই। তারপরেই সব থেকে বেশি সংখ্যক আক্রান্ত হয়েছে সেরাজ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর পুনে।
মুম্বই-দিল্লিতে আটকে কয়েক লক্ষ শ্রমিক
এদিকে মুম্বইতে এখন শ্মশানের নিস্তব্ধতা। মহারাষ্ট্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত রয়েছে বাণিজ্যনগরীতেই। সেখানে ৫০০০-র বেশি জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সেখানে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওই মারণ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। দিল্লিতেও ৩০০০ জনের বেশি আক্রান্ত করোনায়। এই দুই শহরে পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিস্থিতি খুব শোচনীয়। এই আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে না আছে থাকার জায়গা, না আছে খাবার, না আছে টাকা।