কানহাইয়ার কংগ্রেসে যোগদানের দিনক্ষণ চূড়ান্ত, নয়া সম্ভাবনায় সমীকরণ বদলের ইঙ্গিত
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় তরুণ রাজনীতিক কানহাইয়া কুমার বামপন্থা ছেড়ে দক্ষিণপন্থার দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছিল। সম্প্রতি তিনি কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎও করেন।
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় তরুণ রাজনীতিক কানহাইয়া কুমার বামপন্থা ছেড়ে দক্ষিণপন্থার দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছিল। সম্প্রতি তিনি কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎও করেন। তারপরই তাঁর কংগ্রেসে যোগদানের তুমুল জল্পনা চলতে থাকে। সেই জল্পনার অবসান ঘটতে চলেছে বলেই রাজনৈতিক মহলের অভিমত। সিপিআই ছেড়ে কানহাইয়া কুমার শীঘ্রই যোগ দিতে চলছেন কংগ্রেসে। একইসঙ্গে গুজরাতের দলিত নেতা জিগনেশ মেওয়ানিও একইদিনে যোগ দিতে পারেন কংগ্রেস।
কানহাইয়া সিপিআই ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন কবে
জেএনইউ ছাত্র ইউনিয়নের প্রাক্তন সভাপতি কানহাইয়া কুমার। সিপিআই নেতা হিসেবে তিনি বিহার থেকে ইতিমধ্যে সিপিআইয়ের টিকিটে লোকসভা নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তিনি ২৮ সেপ্টেম্বর সিপিআই ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেবেন বলে বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে। কানহাইয়া কুমারের এই যোগদান-সম্ভাবনা নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতি ছেড়ে জাতীয় রাজনীতিতেও।
কানহাইয়া মোদী-বিরোধিতায় নাম লেখাচ্ছেন কংগ্রেসে
রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের পর থেকেই এই জল্পনা শুরু হয়েছিল যে, কানহাইয়া কুমার কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের পর থেকেই কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব ছিল। বছর দু-আড়াই পরে ফের সেই সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যেতে চলেছে। সুবক্তা, তরুণ-তুর্কি নেতা বামপন্থী রাজনীতি ছেড়ে এবার মোদী-বিরোধিতায় নাম লেখাচ্ছেন কংগ্রেসে।
কানহাইয়াকে দিল্লির রাজনীতিতে কাজে লাগাতে চায় কংগ্রেস
সূত্রের খবর, কানহাইয়া কুমারের নেতৃত্বে বিহারে ফের সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করবে কংগ্রেস। রাজ্যে আন্দোলন শুরু করার পাশাপাশি ধীরে ধীরে তা জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে। প্রশান্ত কিশোরের পরিকল্পনা অনুযায়ীই ২০২৪-এর আগে কানহাইয়া কুমারকে দিল্লির রাজনীতিতে কাজে লাগাতে চায় কংগ্রেস। সেইমতোই কৌশল রচনা করা হচ্ছে মোদি-বিরোধিতায়।
বিহারে কংগ্রেস জোর ধাক্কা খাওয়ার পর কানহাইয়ার দ্বারস্থ
সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে বিহারে কংগ্রেস জোর ধাক্কা খেয়েছিল। মহাজোট গড়ে লড়েও তারা সুবিধা করতে পারেনি। ৭০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাত্র ১৯টি আসন জিততে সক্ষম হয়েছিল তারা। কংগ্রেসের এই নিকৃষ্ট পারফরম্যান্সকেই জোটের পরাজয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ কংগ্রেস গতবারের সাফল্য ধরে রাখতে পারলেই মহাজোটের কাছে হার মানতে বাধ্য হল বিজেপি-জেডিইউ।
মোদী বিরোধিতাকেই তিনি অগ্রাধিকার দিচ্ছেন কানহাইয়া
এমতাবস্থায় কানহাইয়া কুমারের কংগ্রেসে আসা বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে কংগ্রেস শিবিরে। ভোট রাজনীতিকে গুরুত্ব দিয়েই কানহাইয়া কুমার কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বেগুসরাইয়ে বিজেপির কাছে হেরে তিনি বলছিলেন, নির্বাচনে হেরে আমি দুঃখিত নই। কেননা আমার লড়াই ছিল ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। সেই লড়াইয়ের জন্য আমি জনগণের সমর্থন পেয়েছি। একজন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর পুত্র হিসেবে ভোট লড়তে পেরেছি তাতেই আমি খুশি। তাহেল কেন এখন কংগ্রেসের দিকে ঝুঁকছেন? এখানে প্রশ্ন উঠে পড়েছে, তাহলে তিনি কেন কংগ্রেসের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছেন। তাহলে মোদী বিরোধিতাকেই তিনি অগ্রাধিকার দিচ্ছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কানহাইয়ার কংগ্রেসে যোগদানের দিনক্ষণও চূড়ান্ত
রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর কানহাইয়ার কংগ্রেসে যোগ-জল্পনা শুরু হয়েছিল। ২০২৪-এর প্রাক্কালে এসে তাঁর কংগ্রেসে যোগদানের সম্ভাবনই জোরদার হতে শুরু করেছে। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর কানহাইয়ার কংগ্রেসে যোগ সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করেছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এবার কানহাইয়ার কংগ্রেসে যোগদানের দিনক্ষণও চূড়ান্ত হয়ে গেল। একইদিনে অর্থাৎ ২৮ সেপ্টেম্বর জিগনেশ মেওয়ানিও যোগ দেবেন কংগ্রেসে। এর ফলে মোদী-রাজ্য গুজরাটে শক্তিশালী হবে কংগ্রেস।