কৈলাস মানস সরোবর পূণ্যার্থীদের ঢুকতে দিল না চিন, আলোচনা বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে
খারাপ আবহাওয়ার কারণে চিন প্রবেশাধিকার না দেওয়ায় ফিরে আসতে হল প্রথম ও দ্বিতীয় দফার কৈলাস মানসরোবর পূণ্যার্থীদের।
নাথুলা পাস হয়ে কৈলাস মানস সরোবরের পূণ্যার্থীদের ঢুকতে দিল না চিন। ফলে ফিরে আসতে হচ্ছে প্রথম দফার ৫০জন পূণ্যার্থীকে। গত শনিবার চিনের সিচুয়ান প্রদেশে ধস নেমে কমপক্ষে ১৪০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মূলত সেকারণেই সাময়িকভাবে চিন কৈলাস যাত্রা বন্ধ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই গ্যাংটকে পৌঁছে গিয়েছেন দ্বিতীয় দফার পূণ্যার্থীরা।
গত ১৫ই জুন নাথুলা পাস পৌঁছন কৈলাস মানস সরোবরের ৫০জন যাত্রী। কিন্তু সিকিম হয়ে কৈলাস মানস সরোবর পৌঁছেতে গেলে চিন দিয়েই ঢুকতে হয়। নাথুলা পাস পৌঁছে তাঁরা জানতে পারেন, চিন পূণ্যার্থীদের প্রবেশ বন্ধ রেখেছে। এরপরই তাঁদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় ভারত সরকার। সিকিম পর্যটন উন্নয়ন নিগমকে এই দায়িত্ব দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকি দ্বিতীয় দফার যাত্রীদেরও গ্যাংটক থেকে শিলিগুড়ি নামিয়ে আনা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই চিনের আবহাওয়া কৈলাস যাত্রার অনুকূল নয়। ফলে এ বছর কৈলাস মানস সরোবর যাত্রার গোড়া থেকেই ভারতীয় পূণ্যার্থীদের প্রবেশে নারাজ চিন প্রশাসন। তারওপর গত শনিবারই চিনের সিচুয়ান প্রদেশে ব্যাপক ধস নামে। ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় কমপক্ষে ১৪০ জনের। এখনও ধসের তলায় অনেকেই চাপা পড়ে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়া ভাল না হওয়া পর্যন্ত কৈলাস যাত্রার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে চিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে এর পেছনে অন্য কোনও কারণও থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে চিনের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গোপাল বাগলে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে পরিস্থিতির বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন কুমার চামলিং।
উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় হয়ে কৈলাস মানস সরোবর যাওয়ার আরেকটি পথ আছে ঠিকই, কিন্তু সেই পথ অনেক বেশ দুর্গম। ২০১৫ সালে নাথুলা পাস হয়ে কৈলাসের রুটটি চালু হওয়ার পর থেকেই এই পথেই কৈলাস যাত্রার ব্যবস্থা করে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে যে সমস্ত পুণ্যার্থীদের ফিরিয়ে আনা হল, তাঁদের যাবতীয় খরচ ফেরত হবে বলে আশ্বস্ত করেছে কেন্দ্র।