রাজাপক্ষেতে আপত্তি, নরেন্দ্র মোদীর শপথে অনুপস্থিত থাকবেন জয়া, বাইকো?
২০০৯ সালে এলটিটিই অর্থাৎ তামিল জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সময় শ্রীলঙ্কা সেনা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে বারবার। বিভিন্ন ফুটেজে দেখা গিয়েছে, নিরীহ তামিল যুবকদের বাড়ি থেকে বের করে লাইন দিয়ে দাঁড় করিয়ে গুলি করে খুন করা হয়েছে। ফাঁকা মাঠে জনসমক্ষে ধর্ষণ করা হয়েছে তামিল মেয়েদের। শিশুদের হাত-পা ভারী বুট দিয়ে থেঁতলে দিয়েছে সেনাবাহিনী। পাশ্চাত্যের বিভিন্ন সংবাদপত্রেও ছাপা হয়েছে এমন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা। যদিও এর সত্যতা নেই বলে দাবি করেছে শ্রীলঙ্কা। ২০০৯ সালে যখন এলটিটিই-বিরোধী অভিযান হয়, তখন ক্ষমতায় ছিলেন এই মহিন্দা রাজাপক্ষেই। ফলে দুনিয়াভর তামিলদের চোখে তিনি 'পিশাচ' ছাড়া আর কিছু নয়। এহেন একজনকে নিমন্ত্রণ করায় তাই নরেন্দ্র মোদীর ওপর বেজায় চটেছে তামিলনাড়ুর রাজনীতিক দলগুলি।
এলটিটিই-র সমর্থক বলে পরিচিত বাইকো তাই বলেছেন, "আমি খুবই দুঃখ পেয়েছি। নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিংকে আমি বলব, তাঁরা যেন রাজাপক্ষেকে এ দেশে ঢুকতে না দেন। সেক্ষেত্রে দুনিয়ার সব তামিল ভাষাভাষী মানুষের ভাবাবেগে আঘাত লাগবে। রাজাপক্ষে এলে আমরা নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকার ব্যাপারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করব না।" উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ১৯৯৮-৯৯ সালে যখন অটলবিহারী বাজপেয়ী শপথ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী পদে, তখন শ্রীলঙ্কাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কারণ তখন এনডিএ সরকার শ্রীলঙ্কায় তামিলদের অধিকার নিয়ে সরব ছিল।
সমর্থিত সূত্রের খবর, ২৬ মে নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে জয়ললিতার থাকার সম্ভাবনাও কম। কিছুদিন আগে রাজীব গান্ধী খুনে দোষী সাব্যস্ত সাতজনকে কারাগার থেকে ছাড়ার কথা বলে তামিল ভাবাবেগকে উসকে দিয়েছিলেন জয়ললিতা। সুপ্রিম কোর্টে নিষেধ মেনে সেই পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়। এখন যদি মহিন্দা রাজাপক্ষের সঙ্গে একই অনুষ্ঠানে হাজির হন তিনি, তা হলে তামিল জনগণের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছবে বলে মনে করছেন জয়ললিতা। সেই সুযোগ তাঁর প্রতিপক্ষ ডিএমকে নিতে পারে। তাই মেপে পা ফেলতে চাইছেন আম্মা।