জাঠ সংরক্ষণ : আলোচনায় বসতে রাজি সরকার, তবুও থামছে না আন্দোলনের আগুন
রোহতক/নয়াদিল্লি, ২১ ফেব্রুয়ারি : জাঠ সংরক্ষণ নিয়ে এখনও উত্তপ্ত হরিয়ানা। বিশেষ করে রোহতক এবং জিন্দ এলাকায় পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। চাকরি ও শিক্ষার ক্ষেত্রে জাঠ সংরক্ষণের দাবিতে আন্দোলন চলছে। আর তারই জেরে পুলিশের গাড়িতে , বাসে, শপিং মলে আগুন জ্বালিয়ে দিল বিক্ষোক্ষকারীরা। রোহতকে কারফিউ ঘোষণা হলেও সেনাবাহিনীর সামনেই রোহতকে একের পর এক হিংসা ঘটিয়ে চলেছে বিক্ষোক্ষকারীরা।
বর্তমান পরিস্থিতি একঝলকে দেখে নেওয়া যাক
১) নতুন করে হিংসার ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় ঝাঁঝরে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে কৈথালে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। রোহতকের পাশাপাশি হিসার ও হনসি এলাকায় শনিবার সন্ধ্যে থেকে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
২) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বীরেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, জাঠ সম্প্রদায়কে সংরক্ষণ দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করার সময় এসেছে। সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলার জন্য শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁকে অনুমতি দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
৩) জাঠ সংরক্ষণের আঁচ পৌছল দিল্লিতেও। শনিবার সন্ধ্যায় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। জাতীয় সড়ক ১ অবরোধ করা হয়।
৪) ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে চলা আন্দোলনের জেরে এখনও পর্যন্ত ৮০০টি মতো ট্রেন বাতিল হয়েছে। দুর্ভোগে নয়াদিল্লি স্টেশনে যাত্রীরা। রাস্তায় অবরোধ করে রাখায় সেনাকর্মীরা চপারে করে রোহতকে পৌঁছেছেন।
৫)বুদ্ধখেড়া রেল স্টেশনে আন্দোলনকারীরা আগুন ধরিয়ে দিলে জিন্দে কারফিউ ঘোষণা করা হয়।
৬) জাঠ আন্দোলনের জেরে জল সঙ্কটে দিল্লি। ৭০ শতাংশ জল পরিষেবা অবরুদ্ধ আন্দোলনের কারণে।