মসজিদে লাউড স্পিকার এবং হালার মাংস নিয়ে বিতর্ক! ভারতে জম্মু ও কাশ্মীরের অবস্থান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য ওমরের
জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) যে ভারতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল, বর্তমানে সেই ভারত (India) আর নেই। শ্রীনগরে এমনটাই মন্তব্য করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা (Omar Abdullah)। মুসলিমদের ধর্মীয় অধ
জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) যে ভারতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল, বর্তমানে সেই ভারত (India) আর নেই। শ্রীনগরে এমনটাই মন্তব্য করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা (Omar Abdullah)। মুসলিমদের ধর্মীয় অধিকার সুরক্ষিত হবে না জানলে এই সিদ্ধান্ত অন্যরকমের হত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। এমনটাই সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে।
এখন একটি ধর্মকেই অগ্রাধিকার
জম্মু
ও
কাশ্মীরের
প্রাক্তন
মুখ্যমন্ত্রীর
অভিযোগ,
এখন
একটি
ধর্মকেই
অগ্রাধিকার
দেওয়া
হচ্ছে।
তিনি
বলেছেন,
যখন
জম্মু
ও
কাশ্মীর
ভারতে
যোগ
দিয়েছিল,
সেই
সময়
প্রতিটি
ধর্মের
সঙ্গে
সমান
আচরণ
করা
হত।
কিন্তু
সেই
সময়
বলা
হয়নি
একটি
ধর্মকে
অগ্রাধিকার
দেওয়া
হবে
এবং
অন্যদের
দমন
করা
হবে।
তিনি
বলেছেন,
যদি
এটা
তখন
জানতাম,
তাহলে
সিদ্ধান্তটা
অন্যরকম
কিছু
হত।
প্রতিটি
ধর্ম
সমান
অধিকার
পাবে,
সেই
কারণেই
সচেতনভাবেই
জম্মু
ও
কাশ্মীর
ভারতের
সঙ্গে
যুক্ত
হয়েছিল
বলে
মন্তব্য
করেছেন
তিনি।
আলোচনায় সাম্প্রতিক বিতর্কিত বিষয়
ওমর
আবদুল্লা
কর্নাটক,
মহারাষ্ট্র
এবং
মধ্যপ্রদেশের
মতো
রাজ্যগুলিতে
আজান
কিংবা
নমাজের
সময়
আউড
স্পিকারের
ব্যবহার,
হিজার
পরে
কলেজে
যাওয়া
এবং
হালাল
মিট
নিয়ে
চলতি
বিতর্ক
নিয়ে
কথা
বলেন।
তিনি
অভিযোগ
করেন,
মুসলিমদের
ধর্মীয়
বিশ্বাস
এবং
তাদের
জীবনযাপন
পদ্ধতি
নিয়ে
দমন-পীড়ন
নীতি
নেওয়া
হয়েছে।
তিনি
প্রশ্ন
করেন,
মুসলিমরা
কেন
মসজিগে
লাউড
স্পিকার
ব্যবহার
করবেন
না?
যদি
অন্য
ধর্মীয়
স্থানে
তা
ব্যবহারের
অধিকার
থাকে,
তাহলে
মসজিদে
নয়
কেন,
প্রশ্ন
তুলেছেন
তিনি।
প্রাক্তন
মুখ্যমন্ত্রী
আরও
বলেন
মুসলিমরা
কোনও
মন্দির
কিংবা
অন্য
কোনও
ধর্মীয়
স্থানে
লাউডস্পিকার
ব্যবহার
নিয়ে
আপত্তি
করেননি।
তিনি
প্রশ্ন
করেন,
হিন্দু
কিংবা
শিখ
ধর্মাবলম্বীরা
কি
মন্দির
কিংবা
গুরুদ্বারে
মাইক
ব্যবহার
করবেন
না?
হালাল মাংস বিক্রিতে বাধায় প্রশ্ন
ওমর আবদুল্লা হালাল মাংস বিক্রিতে বাধা দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন ধর্ম মুসলিমদের হালাল মাংস খেতে বলেছে। কেন তা বন্ধ করা হবে। তিনি বলেছেন, মুসলিমরাতো অন্য কাউকে হালাল মাংস থেকে বাধ্য করছে না। তিনি প্রশ্ন করেছেন, কোনও মুসলিম তি অন্য কোনও ধর্মের মানুষকে হালাল খেতে বাধ্য করেছে? কোনও মানুষ যেভাবে পছন্দ করেন, সেইভাবেই খাওয়া দাওয়া করেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গত কয়েক সপ্তাহের বিভিন্ন জায়গায় গোষ্ঠী সংঘর্ষ
গত
কয়েক
সপ্তাহে
বিজেপি
শাসিত
উত্তর
প্রদেশ,
মধ্যপ্রদেশ
এবং
গুজরাতের
মতো
রাজ্যগুলিতে
রাম
নবমীর
মিছিল
ঘিরে
গোষ্ঠী
সংঘর্ষের
ঘটনা
ঘটেছে।
সাধারণভাবে
মিছিলগুলি
মুসলিম
অধ্যাষিত
এলাকার
মধ্যে
দিয়ে
যাওয়ার
সময়
খুব
বেশি
জোরে
মাইক
বাজানো
এবং
পাল্টা
পাথর
ছোড়া
নিয়ে
উত্তেজনা
দেখা
দিয়েছিল।
অন্যদিকে
কর্নাটকে
কলেজে
হিজার
পরে
ক্লাস
করতে
বাধা
দেওয়া
এবং
হিন্দু
সংগঠনগুলি
হালাল
মাংস
বিক্রি
নিয়ে
আপত্তি
জানালে
বিতর্ক
ছড়িয়ে
পড়ে।