ইশরত জাহানকে 'আত্মঘাতী লস্কর জঙ্গি' বলে দাবি হেডলির
মুম্বই, ১১ ফেব্রুয়ারি : ইশরত জাহানকে মনে আছে? ২০০৪ সালের ১৫ জুন ১৯ বছর বয়সী ইশরত ও তার তিন সঙ্গী প্রাণেশ পিল্লাই (ওরফে জাভেদ গুলাম শেখ), আমজাদ আলি রানা ও জিশান জোহরকে ভুয়ো সংঘর্ষে মেরে ফেলার অভিযোগ ওঠে গুজরাত পুলিশের দিকে।
সেই ঘটনায় আহমেদাবাদ পুলিশের অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকদের অভিযুক্ত করা হয়। এই মামলায় অভিযোগ ওঠে তৎকালীন গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বিরুদ্ধেও।
সেইসময়ে গুজরাত পুলিশের বক্তব্য ছিল, ইশরত জাহান লস্কর জঙ্গি। তৎকালীন গুজরাত মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খতম করা ও রাজ্যের কয়েকটি ধর্মস্থলে আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিল সে।
যদিও সেইসময়ে ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় গুজরাত হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়ে সিবিআই মামলার তদন্ত করে রাজ্য পুলিশের ২০ জন অফিসারকে দোষী বলে দাবি করে খুনের মামলা রুজু করেছিল।
তবে এতদিন পরে ফের একবার ইশরত জাহান ভুয়ো সংঘর্ষ মামলা সংবাদমাধ্যমের সামনে নিয়ে এল ডেভিড হেডলি। এদিন মুম্বই আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময়ে ডেভিড হেডলি স্বীকার করেছে, লস্কর-ই-তৈবার আত্মঘাতী জঙ্গিদলের সদস্য ছিল ইশরত ও তার সঙ্গীরা।
প্রসঙ্গত, এর আগে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের কাছেও ইশরত জাহানকে নিয়ে নাকি একই দাবি করেছিল হেডলি। জানিয়েছিল, জাকিউর রহমান লখভির কাছেই ইশরত জাহান সম্পর্কে জেনেছিল হেডলি। এক মহিলা আত্মঘাতী জঙ্গি নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছিল লখভি। আর সেটা ইশরতই ছিল।