বিদেশে আটক ভারতীয়দের ঘরে ফেরাতে উদ্যোগী ভারত সরকার, অগ্রাধিকার শ্রমিকদের
বিদেশে আটক ভারতীয়দের মধ্যে ঘরে ফেরাতে উদ্যোগী ভারত সরকার, অগ্রাধিকার শ্রমিকদের
লকডাউন শেষেই বিদেশে আটক ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর তোরজোড় শুরু ভারত সরকারের। সবার আগে দেশে ফিরবেন নীল-কলারের কর্মচারীরা, এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর, এর জন্য ভারতীয় ও বিদেশের উড়ান মন্ত্রক গুলি একযোগে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
দেশে পুনরায় থাকার বন্দোবস্ত দেশে ফেরা ভারতীয়দের
লকডাউনের কারণে বহু ভারতীয় আটকে পড়েছেন ভিন্ন ভিন্ন দেশে। ফলত ভারতীয় ও বিদেশি উড়ান মন্ত্রক একযোগে এইসকল কর্মচারীদের দেশে ফেরানোর বন্দোবস্ত করছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাড়ি ফেরার ক্ষেত্রে সর্বাধিকার পাবেন শ্রমিকরা, তারপর পড়ুয়া এবং ক্রমান্বয়ে অন্যান্য ভারতীয়রা যাঁরা আটকে পড়েছেন বিদেশ-বিভুঁইয়ে তাদের ফিরিয়ে আনা হবে।
করোনা সঙ্কটে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকেরাই
প্রধানমন্ত্রী একটি সাক্ষাৎকারে জানান, ১৯৯৮-এর মত ২০২০ সালেও অর্থনৈতিক ধাক্কার ফলে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন শ্রমিকরা। লকডাউনের জেরে পশ্চিম এশিয়ার কয়েক লক্ষ শ্রমিক কর্মহীন। অন্যদিকে ভারতীয় রাজ্যগুলিতে বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের পুনর্বাসনের স্থানাভাব হওয়ায় ইউরোপের দেশগুলির সাথে কথা বলে তাদের দেখভালের ব্যবস্থা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
ইউরোপে আটক ভারতীয়রা সঙ্কটে
বিদেশে কর্মরত ১২.৬ মিলিয়ন ভারতীয়ের প্রায় ৭০% ইউরোপের ভূমধ্যসাগরীয় দেশ গুলিতে বাস করেন। সংযুক্ত আরব আমির শাহীতে প্রায় ৩.৪ মিলিয়ন ও সৌদি আরবে প্রায় ২.৬ মিলিয়ন ভারতীয় আছেন। এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, "প্রত্যেক দেশ থেকেই বিপুল সংখ্যক ভারতীয় দেশে ফিরতে চাইছেন। রাশিয়া থেকে ১৫০০০ ছাত্রছাত্রী অপেক্ষা করছেন দেশে ফেরার। এমতাবস্থায় আমরা চিন্তিত এত মানুষ দেশে ফিরলে এঁদের স্ক্রিনিংয়ের কি ব্যবস্থা হবে?"
নিয়মের বেড়াজালে আটকে ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া
বিদেশ মন্ত্রকের এক আধিকারিকের মতে, যে দেশে ভারতীয়রা আটক, সেই দেশগুলি কোয়ারানটাইনের দায়ভার না নিলে তাদের দেশে ফেরানো মুশকিল। রাজনীতিবিদদের মতে, এই কারণেই হয়তো ক্যাবিনেট সেক্রেটারি রাজীব গৌবা কোয়ারান্টাইনের জন্যে হাসপাতাল ও শয্যা প্রস্তুত করার উদ্যোগ নিয়েছেন। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রথম সাড়া দিয়েছে কেরলও। কেরল প্রশাসনের মতে, প্রায় ২ লক্ষ নীল-কলারের কর্মচারীদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিতে সক্ষম এই রাজ্য।