
স্বাধীনতা পরবর্তী সর্বোচ্চ আর্থিক মন্দায় ডুবে গোটা দেশ! সঙ্কট কাটাতে নয়া ফর্মুলা ইনফোসিস কর্তার
করোনার ধাক্কায় তীব্র আর্থিক মন্দায় ডুবে গোটা দেশ। বর্তমানে দেশের চলমান অবস্থা নিয়েও বর্তমানে তীব্র আশঙ্কা প্রকাশ করতে দেখা যায় বিশিষ্টনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এন আর নারায়ণ মূর্তিকে। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ভারত বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বলেও তাঁর মত। যদিও এই তীব্র আর্থিক মন্দা কাটাতে বেশ কিছু পথও বাতলান তিনি।

মন্দা কাটাতে আগেও একাধিক নিদান দিয়েছেন ইনফোসিস কর্তা
একটানা লকডাউনের কারণে দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতিকে ফের মজবুত করতে কয়েকমাস আগেই আগামী দুই তিন বছর সপ্তাহে অন্তত ৬০ ঘন্টা কাজের পরমার্শ দেন তিনি। পাশাপাশি একাধিক কোম্পানি ভিন্ন শিফটে কাজের মাধ্যমেও কি ভাবে মন্দা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেই পরামর্শও দিতে দেখা যায় তাকে। যদিও তার এই বক্তব্যের পর বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। বর্তমানে অর্থ সঙ্কটে ডুবে থাকা ভারতে পুনরুদ্ধারের জন্য আরও বেশ কিছু ফর্মুলার কথা শোনা তাঁর মুখে।

ব্যবসায়ীদের পূর্ণ ক্ষমতায়ণের পক্ষে সওয়াল
যত দ্রুত সম্ভব দেশের অর্থনীতির সংশোধন না করলে চলতি বছরে দেশীয় অর্থনীতিতে সবচেয়ে নিম্নগামী জিডিপি-র দেখা মিলতে পারে বলেও জানান ইনফোসিস কর্তা। এই অবস্থা কাটাতে সম্প্রতি তিনি একটি নতুন অর্থব্যবস্থা গড়ে তোলার উপর জোর দিতে দেখা যায় তাকে। যেখানে দেশের অর্থনীতিতে প্রতিটা ক্ষেত্রে প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে পূর্ণ ক্ষমতায়নের কথা বলেন তিনি। একইসাথে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপরেও বিশেষ নজর দিতে বলেন তিনি।

স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নে জোর
ইতিমধ্যেই করোনার ভ্যাকসিন বাজারে নিয়ে এসেছে রাশিয়া। যদিও তার বাজারজাতকরণ এখনও বাকি। এদিকে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনও শেষ মহূর্তের প্রস্তুতিতে। এই প্রসঙ্গে দেশের সমস্ত মানুষের কাছে দ্রুত ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে ঢেলে সাজানোর উপর জোর দিতে দেখা যায় ইনফোসিস কর্তাকে। তবেই দ্রুত স্বাবাবিক হবে পরিস্থিতি। ফের নতুন উদ্যোমে কাজে যোগ দিতে পারবে মানুষ।

করোনা সঙ্কটে প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ১৪ কোটি পরিযায়ী শ্রমিক
এই প্রসঙ্গ বলতে গিয়ে নারায়ন মূর্তি বলেন, "আমরা যদি দিনে এক কোটি লোককে টিকা দিতে সক্ষম হই তবে সমস্ত ভারতীয়কে টিকা দিতে ১৪০ দিন সময় লাগবে। খুবই সময় সাপেক্ষ। কিন্তু তার জন্য আমরা আমাদের অর্থনীতিকে থেমে থাকতে দিতে পারিনা। বর্তমানে গোটা দেশের প্রায় ১৪ কোটি শ্রমিক করোনা ভাইরাসের দ্বারা প্রত্যক্ষ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তাই পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার দিকে আমাদের মনোনিবেশ করতে হবে।"

ফেরাতে হবে পরিযায়ী শ্রমিকদের
একইসাথে করোনা সঙ্কটের জেরে যে সমস্ত কোটি কোটি শ্রমিক নিজ গ্রামে বা নিজ এলাকায় ফিরে গেছেন তাদের পুনরায় কাজে যোগদান করানোর ব্যাপরেও জোর দিতে দেখা যায় নারায়ন মূর্তিকে। তাদের জন্য বিকল্প কাজের সন্ধানের কথাও বলেন তিনি। তারফলে শহুরে অর্থনীতির হাল আগের থেকে অনেকটাই ফেরানো সম্ভব হবে বলে মত তাঁর। একইসাথে যে সমস্ত সংস্থা গুলি ওয়ার্ক ফ্রম হোমের মতো পরিষেবা প্রদান করতে সক্ষম নয় তাদের কর্মক্ষেত্র সচল রাখতে বিশেষ পরিষেবা প্রদান করা উচিত বলেও তাঁর মত।
Recommended Video

মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের বোঝা! ফের লকডাউনের দিন পরিবর্তন নিয়ে মমতাকে আক্রমণ সুজনের