আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে আরও এক ধাপ, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পিপিই প্রস্তুতকারক এখন ভারত
করোনা ভাইরাসের ধাক্কায় সব থমকে গেছে। এই আবহেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রতিরক্ষা খাতে মেক ইন ইন্ডিয়া আর ভোকাল ফর লোকাল-এর মন্ত্র শুনিয়েছিলেন তিনি। সেই উদ্দেশ্যেই বিভিন্ন খাতে এগোচ্ছে দেশ।
দেশকে আত্মনির্ভর হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী
দেশকে আত্মনির্ভর হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই পথে হেঁটেই নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছে ভারত। গোটা দেশে প্রায় ৬০০টি কোম্পানি পিপিই কিট তৈরি করছে। প্রতিদিনে এখন ৪.৫ লক্ষ পিপিই কিট তৈরি করা হয় দেশে, বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে পিপিই তৈরি করা দেশের তালিকায় শীর্ষে চিন। তারপরই আছে ভারত।
বর্তমানে ৬০০টি কারখানায় তৈরি হচ্ছে পিপিই
উল্লেখ্য, দেশে প্রথমদিকে কোনও পিপিই কিটই তৈরি হত না। কার্যত শূন্য থেকে শুরু করে এই জায়গায় পৌঁছেছে ভারত। গত দুসপ্তাহে পিপিই কিট উৎপাদনের হার দ্বিগুণ করা হয়েছে। গত দুসপ্তাহ আগে মাত্র ৫২টি কোম্পানি পিপিই কিট তৈরি করত। তবে এখন সেই সংখ্যা দ্রুত বেড়ে ৬০০তে রূপান্তরিত হয়েছে।
আগে কিট আমদানি করতে হত ভারতকে
মে মাসের ৫ তারিখে যে পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছিল, তাতে জানা যায় দেশে পিপিই কিট উৎপাদনের সংখ্যা ছিল ২.০৬ লক্ষ। গত দু মাস ধরে কিট উৎপাদন করতে শুরু করেছে ভারত। আগে এই ধরণের কিট আমদানি করত দেশ।
কী কী থাকে একটি পিপিই কিটে?
পিপিই কিটে থাকে একটি মাস্ক, একটি আই শিল্ড, জুতোর কভার, গাউন ও গ্লাভস। করোনার আক্রান্তদের চিকিৎসার সময়েই মূলত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা এই কিট ব্যবহার করেন। গত মাসে কেন্দ্র জানিয়েছিল ১.৪৩ কোটি টাকার পিপিই কিট ভারত নিজে তৈরি করেছে। মোট পিপিই কিট দরকার ছিল ২.২২ কোটি। ৮০ লক্ষ কিট আমদানি করতে হয়েছে।
লাদাখের চিন সীমান্ত পরিদর্শনে সেনাপ্রধান, পাঁচ দফা 'ব্যর্থতা'-র পর লোপ্রোফাইল সফর নিয়ে জোর জল্পনা