যুদ্ধবাজ চিনকে শায়েস্তা করতে ‘আসিয়ান’ দেশগুলির সঙ্গে হাত মেলাল ভারত, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, জাপান
যুদ্ধবাজ চিনকে শায়েস্তা করতে ‘আসিয়ান’ দেশগুলির সঙ্গে হাত মেলাল ভারত, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, জাপান
'যুদ্ধবাজ’ চিনকে শায়েস্তা করতে ময়দানে নামছে বিশ্বের বেশ কিছু শক্তিশালী দেশ। চিনের আগ্রাসী নীতির পাল্টা দিতে বর্তমানে 'আসিয়ান’ দেশ গুলি সহ একে অপরের দিকে সাহায্যের হাত বাড়ল আমেরিকা, জাপান, ভারত অস্ট্রেলিয়ায়। এদিকে ইতিমধ্যেই ভারত মহাসাগরের বিস্তীর্ণ অংশ শক্তি বাড়াতে দেখা গেছে চিনা নৌবাহিনীকে।
জলযুদ্ধের অশনি সংকেত নিয়ে আগাম সতর্কবার্তা আসিয়ান দেশ গুলির
সূত্রের খবর, গত কয়েকদিনে লাল-ফৌজের নৌ-বাহিনীর বিস্তর গতিবিধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে ভারত মহাসাগরের। বেশ কিছু চিনা সাবমেরিনের গতিবিধিও নজরে পড়েছে। পূর্ব চিন সাগর, দক্ষিণ চিন সাগরের একটা বিস্তীর্ণ এলাকায় ক্রমেই আরও আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে চিনা নৌবাহিনী। এমতাবস্থায় এর আগেই জলযুদ্ধের অশনি সংকেত নিয়ে আগেই সতর্কবার্তা শোনাতে দেখা যায় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ান নেশনস অ্যাসোসিয়েশন বা আসিয়ানকে।
আসিয়ান দেশ গুলির সঙ্গে হাত মেলাল আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া
বিতর্কিত পূর্ব চিন সাগরের দ্বীপ গুলির চারপাশে চিনা নজরদারির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, মালেয়শিয়া, ফিলিপিন্স, কম্বোডিয়া, মায়নমার, ব্রুনেই এবং লাওসের মতো আসিয়ান গোষ্ঠীর অন্তুর্ভূক্ত দেশগুলি। ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে জাপানকে। ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসের সংকটের মধ্যেও চিনকে আটকানোর জন্য আসিয়ান দেশগুলো তাঁদের ভার্চুয়াল বৈঠকে জলপথে যুদ্ধের পরিকল্পনা সেরে নিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এমতাবস্থায় ‘যুদ্ধবাজ' চিনকে শায়েস্তা করতে আসিয়ান দেশ গুলির সঙ্গে হাত মেলাল আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়াও।
ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আগ্রাসী চিনকে রুখতে নতুন পরিকল্পনা
ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন সংঘর্ষের রেশ ধরে ক্রমেই তীব্রতর হচ্ছে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সম্ভাবনা। তাদের ধারণ আসিয়ান দেশগুলি একীভূত হয়ে বিশ্বের আরও কিছু শক্তিধর দেশকে নিজেদের পাশে পেলেও চিনের পাশে দাঁড়াবে পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়ার মত দেশ গুলি। সূত্রের খবর এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে আমেরিকা, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার সাথে আঞ্চলিক কৌশলগত বোঝাপড়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক একটি নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিষয় গুলি নিয়ে পর্যালোচনার জন্য তারা একটি নতুন দল তৈরির পরিকল্পনা করেছে বলেও জানা যাচ্ছে।
কোনও বিষয়ে প্রাথমিক ভাবে মনোনিবেশ করতে চলেছে এই আন্তর্জাতিক ব্যুরো ?
সূত্রের খবর, আগামী মাসের মধ্যেই এই নতুন কমিটির সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। যার জেরে এই দেশ গুলির বৈদেশিক সম্পর্কও আরও জোরদার হতে পারে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহল। এই ব্যুরোর আন্তর্জাতিক নীতি বিভাগে নতুন আধিকারিকের প্রাথমিক দৃষ্টিভঙ্গিই হবে মিত্র ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া, পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলির সহযোগিতার দিকে আরও বেশি করে মনোনিবেশ করা।
সেনাকাকু-দিয়াওয়ে দ্বীপপুঞ্জে এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকেই চলছে চিনা নজরদারি
এদিকে সম্প্রতি একটি চিনা সাবমেরিনকে জাপানের দক্ষিণ উপকূলের ঠিক পাশ দিয়ে চলে যেতে দেখা যায়। বিতর্কিত পূর্ব চিন সাগরের দ্বীপের চারপাশে চিনা উপকূলের প্রহরী নৌযান গুলির এই নজরদারির জেরে স্বভাবতই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জাপান। এছাড়াও সেনাকাকু / দিয়াওয়ে দ্বীপপুঞ্জ এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে প্রতিদিন চিনা জাহাজের দেখা মিলছে। সূত্রের খবর, এর পর থেকে বিগত ২ মাস যাবত জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তারো কোনো ভারত, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশ সমূহ সহ আরও একাধিক দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে চিনের আগ্রাসী মনোভাব সম্পর্কে অবগত করেন। তারপরেই চিনকে শায়েস্তা করতে সকলে একযোগে ময়দানের নামার পরিকল্পনা নেওয়া হয় বলে খবর।
চিনকে রুখতে ভারতের পাশে বিশ্বের তাবড় দেশগুলি, দ্বন্দ্ব ভুলে সামরিক সাহায্য রাশিয়া-আমেরিকার!