কেরলে বদলেছে বিজেপির ভাবমূর্তি, নিজের 'দাম' বুঝিয়ে দাবি 'মেট্রোম্যান' শ্রীধরণের
আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁর নাম বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে। তবে তাঁর প্রচারে কেরলে গিয়েছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এতেই বোঝা গিয়েছিল যে মোট্র্যাম্যান খ্যাত ই শ্রীধরণকে কতটা গুরুত্ব দিয়েছে বিজেপি। কেরলের দু'মুখী লড়াইতে বিজেপি ছাপ ফেলতে পারবে কি না, তা সময় বলবে। তবে পদ্ম শিবিরের যে ভাবমূর্তি সেরাজ্যে বদলেছে, তা জানিয়ে দিলেন মেট্র্যোম্যান স্বয়ং। এবং এর নেপথ্যে যে তিনি নিজে রয়েছেন, তাও দাবি করেন শ্রীধরণ।
সকাল সকাল ভোট দেন শ্রীধরণ
মঙ্গলবার বাংলার পাশাপাশি কেরলেও ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেরাজ্যে ১৪০টি আসনে একটি দফাতেই ভোগ্রহণ হচ্ছে সেরাজ্যে। এই আবহে এদিন সকাল সকাল ভোট দিতে গিয়েছিলেন বিজেপির পালাক্কাড়ের প্রার্থী ই শ্রীধরণ। তাঁর সঙ্গে তাঁর স্ত্রীও ছিলেন। সেখানে গিয়েই শ্রীধরণ দাবি করেন, যে তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় কেরলে দলের ভাবমূর্তি বদলেছে।
'আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি'
এদিন ই শ্রীধরণ বলেন, 'আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি। মানুষ এবারে রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে ভোট দিচ্ছেন বলে আমার বিশ্বাস। আমার মনে হয়েছিল যে আমার রাজ্যের প্রতি আমার দায়িত্ব পালন করে যাওয়া উচিত। আর সেই স্বার্থেই আমি বিজেপিকে বেছে নিয়েছি মাধ্যম হিসেবে।'
'বিজেপি এবার রাজ্যে বেশ ভালো ফল করবে'
এদিন মেট্রোম্যান দাবি করেন, 'বিজেপি এবার রাজ্যে বেশ ভালো ফল করবে। এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই আমার মনে। আমি বড় ব্যবধানে পালাক্কাড় আসন থেকে জিতব। আমি বিজেপিতে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় কেরলে দলের ভাবমূর্তি বদলেছে।' পাশাপাশি তিনি এদিন বলেন, 'আমি আশা করি বিজেপি আমাকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরবে।'
'রাজ্যের মানুষ একটি বিকল্প খুঁজছে'
৮৮ বছর বয়সী এই প্রযুক্তিবিদ এদিন বলেন, 'আমি এখন ভালো পরিস্থিতিতে আছি। আমার শরীর স্বাস্থ্য ভালো রয়েছে। আমার মনে হয়েছিল যে রাজ্যের জন্য আমার কিছু করা উচিত। রাজ্যের মানুষ এলডিএফ এবং ইউডিএফ-এর বিরুদ্ধে তিতি বিরক্ত। যেভাবে বিগত সরকারগুলি অকারণে বিপুল অর্থ ব্যয় করেছে, তা মানুষ মেনে নিতে পারছে না। রাজ্যের মানুষ একটি বিকল্প খুঁজছে।'
'কেরলের স্বার্থে আমি এই কাজটা করছি'
তিনি এদিন আরও বলেন, 'বিগত ৬৭ বছর ধরে আমি একজন সরকারি কর্মচারী ছিলাম। অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেছে, যে এত বছর পর এখন কেন আমি রাজনীতিতে প্রবেশ করলাম। আমি তাদের বলতে চাই, বিগত ৬৭ বছর ধরে আমি সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। আমার মধ্যে এখনও শক্তি রয়েছে। কেরলের স্বার্থে আমি এই কাজটা করছি।'