‘আমি দলের সঙ্গে ছিলাম, দলের সঙ্গে আছি’, দাবি অজিত পাওয়ারের
‘আমি দলের সঙ্গে ছিলাম, দলের সঙ্গে আছি’, দাবি অজিত পাওয়ারের
পর্দা পড়ল নাটকের। মহারাষ্ট্রের মসনদে আর বসা হল না বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীশের। এনসিপির অঝিত পাওয়ারের সমর্থন নিয়ে যে সরকার গঠন করতে চাইছিল গেরুয়া দল, ৭২ ঘণ্টা যেতে না যেতেই তার পতন ঘটল। উপ–মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হল অজিত পাওয়ারকেও। কিন্তু এতকিছুর পরও অজিত পাওয়ার জানিয়েছেন যে তিনি তাঁর দল এনসিপির সঙ্গেই রয়েছেন এবং তা নিয়ে কেউ যেন কোনও বিভ্রান্তি না ছড়ায়। বুধবার অজিত পাওয়ার বলেন, 'আমি ইতিমধ্যেই বলেছি যে আমি এনসিপির সঙ্গেই ছিলাম এবং দলের সঙ্গেই রয়েছি। তারা কি আমায় বহিষ্কৃত করেছে? আপনারা কি কোথাও এটা শুনেছেন বা পড়েছেন কোথাও। আমি এখনও এনসিপির সঙ্গে রয়েছি।’
মঙ্গলবার রাতে অজিত পাওয়ার তাঁর কাকা তথা এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের বাসভবনে যান। তিনি বেড়িয়ে এসে বলেন, 'আমি আমার নেতার সঙ্গে দেখা করব এটা আমার অধিকার।’ ২১ অক্টোবর মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে পুনের বারামতী কেন্দ্র থেকে এনসিপি বিধায়ক ১.৬৫ লক্ষ ভোটে জয়লাভ করেন। কিন্তু গত শনিবার দল ও পরিবারকে বিস্মিত করে তিনি বিজেপির সঙ্গে হাত মেলান এবং দেবেন্দ্র ফড়নবীশের সরকারে উপ–মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেন। ওইদিনই এনসিপি অজিত পাওয়ারকে বিধানসভার সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তা সত্ত্বেও তিনি এখনও দলের সদস্য। মঙ্গলবারই তিনি 'ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়ে রাজ্যের উপ–মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন। এরপরেই দেবেন্দ্র ফড়নবীশ মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভেঙে দেন বিজেপি সরকার।
মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্ট মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশকে তাঁদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার নির্দেশ দেন। মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকার গঠন নিয়ে আবেদন জমা পড়ে শীর্ষ আদালতে।
'বিহারে কুকুর, ঘোড়া , লাঠির নামে জমি রেজিস্টার্ড হত', ফের বোমা ফাটালেন সত্যপাল